কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়া চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য জান্নাতুল ফেরদাউস পপি ও তার স্বামী আলাউদ্দিনকে আটক করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই)সাইফ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ পেতে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানার দক্ষিন আলী নগর আবাসন এলাকার গুচ্ছগ্রামের হালিমের বাড়ির আলা উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস পপি কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের মো: আব্দুর রহিমের ছেলে কামরুল ইসলাম তুহিনকে জোরারগঞ্জে তার সাথে দেখা করতে বলে। পপির প্রেমের প্রস্তাব পেয়ে কামরুল ইসলাম তুহিন ১৬ মার্চ বিকালে জোরারগঞ্জের আকবর নগর মসজিদ গলিতে গেলে পপির স্বামী আলা উদ্দিন ও তার সহযোগীরা তাকে অপহরন করে পাহাড়ী এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে আটক করে রেখে তার পরিবারের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। তুহিনের পরিবার দুই ধাপে বিকাশের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও তারা তাকে মুক্তি না দিয়ে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয় এবং টাকা না দিলে তুহিনকে হত্যা করার হুমকি দিলে তুহিনের মা মনোয়ারা বেগম ১৬মার্চ কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে (ডায়েরী নং-৭৩২)।
সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সাইফ উদ্দিন র্যাব-৭ এর সহযোগীতায় ১৭ মার্চ তুহিনকে প্রথমে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তুহিনের মোবাইল ফোনের কললিষ্টের সুত্র ধরে প্রতারক চক্রের মূল সদস্য জান্নাতুল ফেরদাউস পপি ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের পপির বাবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় কামরুল ইসলাম তুহিন বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানার দক্ষিন আলী নগর আবাসন এলাকার গুচ্ছগ্রামের নূরে জান্নাত পপি, আলা উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, রবিউল হোসেন ও সলিম মেম্বারকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ফজলে রাব্বী জানান, অপহরণকারী চক্রের অন্যান্য সহযোগিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।