কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৬নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ে এবং বিয়ের দুই মাসের ব্যবধানে পুনরায় এককভাবে তালাক দিয়ে বিয়ের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২য় স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা।
শুক্রবার (২২ জুন) দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরীর ২য় স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা বলেন, বর্তমানে চেয়ারম্যান তাকে আপস করে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এতে তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও তাকে হুমকির বিচার দাবি করেন।
মাহমুদা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন, ইকবাল বাহার চৌধুরী একজন ঠকবাজ, প্রতারক ও নারী লোভী লোক। আমার বাবার আর্থিক অসচ্ছলতার সুযোগ নিয়ে তার প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি গোপন রেখে চার মাস আগে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে আমাকে বিয়ে করেন। কিন্তু আমাকে তার বাড়িতে না নিয়ে উল্টো বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো। সে তার বর্তমান ও প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে নিজের দৈহিক লালসা মেটাতে গত ২২/০২/১৮ইং তারিখে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের সময় আমার পরিবারের কাছে জানায় যে, তার প্রথম স্ত্রী মারা গেছে। অথচ তার প্রথম স্ত্রী জীবিত আছে এবং বিয়ের মাত্র ২ মাসের মাথায় গত ২৬/০৪/১৮ইং তারিখে আমাকে এককভাবে তালাক প্রদান করে। কিন্তু তালাক প্রদান করলেও আমার কাবিনের শর্ত পূরনে অপারগতা প্রকাশ করে এবং দুইজন ইউপি সদস্যের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার হুমকি দেন।
তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইকবাল বাহার চৌধুরী বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তাই এ বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি আদালতের মাধমে আইনের আশ্রয় নিয়েছি এবং এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, আমি একটা শালিসী বৈঠকে আছি, পরে কথা বলবো।
উল্লেখ্য মাহমুদা সুলতানা কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের দয়ারামদি গ্রামের সাহাব উল্যার কন্যা ও ইকবাল বাহার চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রী(বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত)।