সদর (নোয়াখালী) সংবদদাতা :: নোয়াখালীতে পুলিশের এক নারী কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তার বাসার কাজে নিয়োজিত এক শিশুকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক পেটানোর ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়েছে। মুঠোফোনে ধারণকৃত ওই ভিডিও চিত্রে শিশুটিকে বাসার ছাদে নিয়ে হাত পা বাঁধা অবস্থায় লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। এ সময় শিশুটিকে নির্যাতনে লাঠি হাতে আরো এক নারীকে সহায়তা করতে দেখা যায়।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রিনা আক্তার নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। ঘটনা জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটিকে নিয়ে ১৫ দিনের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করেন রিনা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের পশ্চিমে খন্দকার পাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোস্তফার বাসার গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কনস্টেবল রিনা আক্তার তার মা ও ছেলের স্ত্রীসহ বসবাস করে আসছেন। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। সেই সুবাধে এলাকার এক দিনমজুরের মেয়ে কলিকে (১৩) বাসায় কাজ করতে নিয়ে আসেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে কলি পাড়ার দোকানে আসা যাওয়া করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করলে কলি তাকে নির্যাতনের কথা জানায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কনস্টেবল রিনা আক্তার শিশুটিকে বাসার ছাদে নিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এ সময় পাশের বাসা থেকে মুঠোফোনে নির্যাতনে চিত্র ধারণ করা হয়। পরে লোকজন থানায় খবর দেয়।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে, এ সময় শিশুটি তাকে নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশকে কোন তথ্য দেয়নি। শুক্রবার পুলিশ জানতে পারে ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে কনস্টেবল রিনা আক্তার কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমানডেন্ট মো. রেজাউল করিম জানান, টাকা চুরির অভিযোগে কনস্টেবল রিনা আক্তারের বাসায় তার গৃহকর্মীকে নির্যাতনের কথা তিনিও শুনেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে তিনজন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।