শিক্ষা ডেস্ক :: করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর চারটি বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো সমাপনী, ইবতেদায়ি, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি বছর পঞ্চম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা না নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সম্মতি দিলে এবার সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না। যতটুকু পড়ানো হয়েছে তার ওপর ক্লাস মূল্যায়ন করে সনদ প্রদান করা হবে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি পাঠ ও বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটির পরিকল্পনা অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী-ইবতেদায়ি ও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিতে হলে আরও প্রায় ৫০ কার্যদিবস পাঠদান প্রয়োজন রয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে বিদ্যালয়গুলো খোলা না হলে নভেম্বর বা ডিসেম্বরের মধ্যে এ দুই স্তরের অবশিষ্ট পাঠদান সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। এ কারণে ২০২০ সালের এ দুই স্তরের পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পাস করিয়ে সার্টিফিকেট দেয়ার প্রস্তাব জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির প্রায় ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশন শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে বা অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। সে বিবেচনায় ১২ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ বেতারে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এতে ৯৭ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী-অভিভাবক মোবাইল ও রেডিওর মাধ্যমে এ সুবিধা নিতে পারছেন। এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকরা যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।