এসময় উপস্থিত ছিলেন, আইন শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, থানা অফিসার ইনচার্জ সাদেকুর রহমান, গণমাধ্যমকর্মী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহ অনেকেই।
সকলের উপস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ও রামপুর ইউপি চেয়ারম্যানের পৃথক সৃষ্ট দুইটি ঘটনা উপস্থাপণ করেন। ওই সময় মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সম্পূরক আলোচনা করেন, পরে রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালেকিন রিমনও সম্পূরক আলোচনা করার সুযোগ নেন, এসময় উভয় চেয়ারম্যান আলোচনায় একে অপরকে ইঙ্গিত করে কথা বললে উভয়ের মধ্যে তুমুল হৈচৈ শুরু হয় এবং একে অপরকে অশালীন বাক্য ব্যাবহার করে। এক পর্যায়ে রামপুর, চরএলাহী ও চরফকিরা ইউনিয়ন ৩ জন চেয়ারম্যান এক হয়ে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর সাথে হাতা-হাতি ও ধাক্কা-ধাক্কি করে।
এসময় গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন তাঁর আসন থেকে উঠে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের এমন ঘটনা নেক্কারজনক বলে অবহিত করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন, আমরা সবাই একটি দলের নেতাকর্মী, এখানে যে ভুল বুঝাবুঝি, কথা কাটাকাটি হয়েছে আমরা এখানেই মিলে মিশে যাবো, এখানেই শেষ করবো, এটি কোনো ভাবেই মনে রাখবোনা এবং বাহিরে প্রকাশ করবোনা। এ ঘটনা প্রকাশ হলে আমরা শুধু স্ব -স্ব এলাকার মানুষের কাছে নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে কলংকৃত একটি ইতিহাস হয়ে থাকবো।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবা উল আলম ভুইয়া বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবরা এমন একটা জায়গায় এসে পারস্প্ররিক শ্রদ্ধাবোধ হারিয়ে পেললে আমারা কিন্তু চেয়ারম্যানদের প্রতি আস্থা রাখতে পারবোনা, চেয়ারম্যান সাহেবেরা যদি এমন কাজ গুলো করে আমরা মানুষের কাছে হতভম্ভ হয়ে যাই।