কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের উপর সাবেক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের হামলার প্রতিবাদে তাঁর ডাকা আধাবেলা হরতাল পালিত হয়েছে। হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে উভয় গ্রুপ।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) ভোরে কাদের মির্জা তাঁর সমর্থকদের নিয়ে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করে থানা অতিক্রম করতে গেলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে র্যাব-পুলিশ লাঠি চার্জ করে। এতে কাদের মির্জার ৩০ সমর্থক আহত হয়। এ সময় কাদের মির্জাকে কিছু সময় থানায় অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ সদস্যরা। হরতালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও উপজেলার সর্বত্র আতংক বিরাজ করায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। এলাকায় ভারী কোন যানবাহন চলাচল করেনি এবং দুরপাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
প্রতিবাদে সকাল ১০টায় রূপালী চত্বরে মেয়র কাদের মির্জা সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, শুক্রবার বিকেলে মিজানুর রহমান বাদল আমার নেতাকর্মীর উপর একরামুল করিম চৌধুরীর গুন্ডাবাহিনী এনে পুলিশের সহায়তায় অতর্কিত হামলা করে পঞ্চাশ জন নেতাকর্মীকে গুলি করে আহত করে। তারা এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এখানে একজন সংবাদকর্মীকেও তারা গুলি করতে দ্বিধাবোধ করেনি। সে আজ হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে আছে। আমার দাবী না আদায় হওয়া পর্যন্ত আমার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আগামী সোমবার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচীর ঘোষণা করেন তিনি।
অপরদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল পেশকারহাট রাস্তার মাথায় সকাল সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, সত্যবচন নামধারী এ কাদের মির্জা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে আসছেন। যিনি নিজেই অপরাজনীতির আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা। অনিয়মতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্প্রতি পৌরসভার ভোটকে সামনে রেখে মোটা অংকের চাঁদাবাজির তথ্যও আমাদের কাছে রয়েছে। কাদের মির্জা জামাত নেতা অধ্যাপক আবু নাছের মোঃ আবদুজ্জাহের ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের অকুণ্ঠ সুনাম করলেও আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রিয়নেতা ওবায়দুল কাদের’র বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। আমরা তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
কাদের মির্জার সমর্থকদের উপর হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাদল বলেন, শুক্রবার আমার বাড়িতে শান্তিপূর্ণ এক সভার আয়োজন করলে কাদের মির্জা তার দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা করে আমার নেতাকর্মীদের গুলি করে আহত করে। আমার বাড়ীর সামনে এখনও গুলির অনেক খোসা পড়ে আছে। তাদের গুলির দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে গুলি করে তারা তার ক্যামেরা-মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।