কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলায় গত ১৬ জুন থেকে দ্বিতীয় বারের মতো কার্যত লকডাউন (অবরুদ্ধ) চলমান থাকলেও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪ জন পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ২জন স্বাস্থ্য কর্মী, ৪ জন পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ ১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়।
স্বাস্থ্য কর্মীরা হলো রামপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কাওছার জাহান মনি, স্বাস্থ্য সহকারী মো:আব্দুর রহীম, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হলো মেহেদী হাসান, রিফাত হোসেন, রাসেল মিয়া, সুমন মিয়া অন্যান্যরা হলো রামপুর ১নং ওয়ার্ডের মো :সোহাগ, চরকাঁকড়া ৬নং ওয়ার্ডের ইকবাল হোসেন, পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের আবুল খায়ের, পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের তাজ নাহার ও মফিজ উল্যাহ।
অপরদিকে মহামারী দেখা দেয়া শুরু থেকে গত কাল পর্যন্ত ৪৪৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৯৯জন করোনা আক্রান্ত হয়। তন্মধ্যে ২২ জনই পুলিশ বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও আক্রান্ত বেশির ভাগই বসুরহাট পৌরসভায়। পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মী সহ বসুরহাট পৌরসভায় ৫৪ জন, চরকাঁকড়া ইউনিয়নে ৬ জন, চরপার্বতী ইউনিয়নে ৮ জন, রামপুর ইউনিয়নে ৩ জন, সিরাজপুর ইউনিয়নে ৮ জন, মুছাপুর ইউনিয়নে ২ জন, চরফকিরা ইউনিয়নে ১ জন, চরএলাহী ইউনিয়নে ১ জন, চরহাজারী ইউনিয়নে ১ জন ,পাশ্ববর্তী এলাকার ৬ জনসহ মোট ৯৯ জন আক্রান্ত হয়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশসহ৩৬ জন সুস্থ হয়ে বর্তমানে ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
সচেতন মহল বলেছেন ,লোকসমাগম ও যাতায়াত যত বেশি হবে কেভিড়-১৯ বেশি ছড়ানো শঙ্কা তৈরী হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলাকা ভিত্তিক আরো কঠোর লকডাউন কার্যকর করার দাবী জানান, অন্যদিকে লকডাউনের মতো বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর থেকে সংক্রমণ বাড়ছে। অত্র উপজেলায় গত ১৬ জুন থেকে দ্বিতীয় বারের মতো লকডাউন ঘোষণা করা হলেও সচেতন মহলের মতে তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। এবারের লকডাউন অনেকটা ঢিলেঢালে হয়েছে।
কর্মহীন মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করে আরো কঠিনভাবে এলাকা ভিত্তিক লকডাউন করলে কিছুটা হলেও আক্রান্তের সংখ্যা কমবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।