কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় দরিদ্র এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে হাজতে আটকিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এসআই রূপন নাথ (বিপি নম্বর- ৮৫০৪০৬৪৮২৬) দাবিকৃত বাকি টাকার জন্য সিএনজি অটোরিকশাটি এখনো থানায় আটক রেখেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সিএনজি চালক মিলন রবিবার বাদি হয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনের কাছে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই রূপন নাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থার জন্য সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রহীমকে দায়িত্বও দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ ছায়েদল হকের ছেলে সিএনজি চালক মিলন গত শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে বাড়ির দরজায় সিএনজি অটোরিকশাটি রেখে বাড়িতে যান। এসআই রূপন নাথ ওই পথে আসার সময় খালি সিএনজিটি ( নোয়াখালী-থ- ১১-৯৩০৮) থানায় নিয়ে আসেন। পরে সন্ধ্যায় চালক মিলন তার গ্রামপুলিশ বাবা ও সিএনজির মালিককে নিয়ে থানায় গেলে ওই এসআই তাকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে হাজতে আটক রাখেন।
এদিকে চালক মিলনকে এবং সিএনজিটি ছাড়িয়ে নিতে হলে এসআই রূপন নাথ গ্রামপুলিশ ছায়েদল হকের নিকট ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে গভীররাতে নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে মিলনকে ছেড়ে দিলেও দাবিকৃত আরও ৫ হাজার টাকা না দেয়ায় সিএনজি অটোরিকশাটি এখনো আটকাবস্থায় থানায় রেখে দেন। বর্তমানে এসআই রূপন নাথ দাবিকৃত টাকা না পেলে চালককে মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে সিএনজি অটোরিকশাটি বাজেয়াপ্ত করার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। তবে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
অভিযুক্ত এসআই রূপন নাথকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি চালক ও সিএনজি অটোরিকশা আটকের বিষয়টি স্বীকার করলেও টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন। তবে তিনি দম্ভোক্তি করে বলেন, ‘আমার নামে পত্রিকায় লিখে দেন, আমি ডিআইজি কেন আইজিকেও পরোয়া করি না’। তিনি আরও বলেন, আমি কিছু লোককে পিটিয়ে ও মামলায় ঢুকিয়ে তার পর যেতে হলে যাবো। বাংলাদেশ পুলিশে এখন কাউকে অন্যায়ভাবে আটক, পিটানো বা মামলায় ঢুকানোর মতো এমন অনিয়ম তো নেই- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এসআই রূপন নাথ সবই পারি”।