কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে রাজনীতি করছি উল্লেখ করে বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কটূক্তি করা জিয়াউর রহমান সম্রাট ও আশ্রাফ হোসেন রবেন্স তারা দুই জন মিলে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর জন্য মদ সরবরাহ করে। রাহাত, মুন্নারা মাদক বিক্রেতা সম্রাটের বন্ধু ও সহযোগী। এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র সাবাব চৌধুরীর অস্ত্র বিক্রি করে এই সম্রাট ।
এসবের জন্য আমি কাউকে দায়ী করি না। এর জন্য একমাত্র দায়ী আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা।
রোববার সকালে বসুরহাট জিরো পয়েন্ট বঙ্গবন্ধু চত্বরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- আবদুল কাদের মির্জা অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভীন আক্তার মুরাদ, চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল হক প্রমুখ।
কাদের মির্জা বলেন, গত শুক্রবার মুছাপুরে দলীয় সভা শেষে ফেরার পথে আমার গাড়িবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। চরএলাহী থেকে ফেরার পথে আমাদের পথের মধ্যে গাছ কেটে ও বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমরা ভিন্নপথে ফিরে এসেছি। কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত (আবদুল কালাম আজাদ) আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তিনি সহযোগিতা না করলে কী ঘটনা ঘটত তা আমি জানি না।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি আমার মামলা রেকর্ড করে না। অথচ ফেরেশতার মতো মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন।
পরিদর্শককে (তদন্ত) উদ্দেশ করে কাদের মির্জা বলেন, কোম্পানীগঞ্জে শান্তির স্বার্থে সব অস্ত্র উদ্ধার করুন। না পারলে আমাকে বলুন, কোথায় কোথায় অস্ত্র আছে আমি জানি। মহিলাদের কাপড়ের আঁচল দিয়ে বেঁধে আমি অস্ত্র উদ্ধার করবো ।ওবায়দুল কাদেরকে কটূক্তিকারী চাপরাশির হাটের আশ্রাফ হোসেন রবেন্সকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার জোর দাবি জানান ।