মোহাম্মদ আমান উল্যা (চাটখিল, নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর চাটখিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া সাজানো ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। তিনি উপজেলা শ্রেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা খবর প্রচারের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনে ২৯ নভেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় চাটখিল, নোয়াখালী থেকে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করেন। যে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের একজন হচ্ছেন অত্র আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম। তিনি মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করার সময় সংবাদকর্মী ও উৎসাহী ব্যক্তিগণ ছবি-ভিডিও ধারণ করেন।
ছবি-ভিডিও ধারণকালে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ ও অফিসের সহকর্মীদের সাথে কথা বলা বা নির্দেশনা প্রদান করার একটি মুহূর্তের ছবিকে উপজেলা নির্বাহী ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বিজয় সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখাচ্ছে মর্মে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে একটি ন্যাক্কারজনক মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ও অপপ্রচারের বিষয়ে আমার ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। আমি প্রায় এক দশক অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করা একজন সরকারি কর্মকর্তা। পেশাগত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণে আমাদের শেখানো হয়েছে কখন কোন আচরণ করতে হবে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা প্রার্থীকে একজন সহকারি রিটার্নিং অফিসার হয়ে বিজয় সূচক চিহ্ন দেখানোর প্রশ্নই আসে না। আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়ে কোনো কোনো সংবাদকর্মী ভিডিও ধারণ করেছেন। আমার ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে সংযুক্ত সেই ভিডিও সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলেই বুঝা যাবে যে এখানে বিজয় সূচক চিহ্ন দেখানোর মতো কোনো পরিবেশই তৈরি হয়নি তিনি আরো বলেন, তারপরও যারা আমার বা উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বিষয়টি যথাযথভাবে না জেনে সংবাদ মাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছেন, তারা বিষয়টির সত্যতা জেনে উপস্থাপন করবেন এটি কামনা করছি।