বিশেষ প্রতিবেদক :: নোয়াখালীতে গেল দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে আমন ধান ও রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব, টানা বর্ষণ ও অতিরিক্ত জোয়ারে জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নৌযান চলাচল বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকছে। নিম্নচাপের প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ, চরঈশ্বর, নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধহীন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
হাতিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আলাউদ্দিন সুমন বলেন, সমুদ্র উপকূলে ৪নং হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে মেঘনা নদী বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সবধরনের নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলারকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৫০ মে. টন ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার সকল সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। সিগনাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সিপিপির সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলা সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
টানা বৃষ্টিতে জেলার সদর, সুবর্ণচর, কবিরহাট উপজেলা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ সব ক’টি উপজেলায় আমন ধান, আগাম রবি শস্য নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় আমন ধান ও আগাম সবজির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তালিকা করতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।