এএইচএম মান্নান মুন্না:নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: সহিদ উল্যাহ্ খান বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতিক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: সহিদুল ইসলাম কিরণ কম্পিউটার প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৬২৮ ভোট। ভোট গণনার শেষে সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ রবিউল আলম এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী বরিশালের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দারের ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেনিন মোবাইল ফোন প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৪ ভোট। নোয়াখালী শহর বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া আবু নাছের নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১১৭ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে এর শহীদুল ইসলাম হাতপাখা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৯৫০, জাতীয় পার্টির মো: সামছুল ইসলাম মজনু লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আনোয়ার হোসেন জগ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২২৭।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৌরসভার ৩৪টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। পৌর সভার ৭৫ হাজার ৭২৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৩৯ হাজার ৮২২ জন ভোটার। ভোটার উপস্থিতি হার ছিল ৫২.৫৯ শতাংশ।
এনিয়ে টানা দ্বিতীয় বার সহিদ উল্যাহ্ খান আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়। নৌকার বিজয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেলা শহরে বিজয় মিছিল বের করে। ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সহিদ উল্যাহ্ খান বলেন, ‘এ বিজয় শান্তি- উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিজয়। এ বিজয় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জননেতা ওবায়দুল কাদেরের সুযোগ্য নেতৃত্বে প্রতি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার বিজয়। নোয়াখালী পৌরসভার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষকে আমি আমার এ বিজয় উৎসর্গ করছি। মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার মর্যাদা রক্ষার জন্য আমি আমার সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে কাজ করে যাবে।