কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কবিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদক মামলায় দীর্ঘ ৫ বছর পর খালাস পাওয়া এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে কবিরহাট-বসুরহাট সড়কের ইসলামিয়া আলিয়া মাদরাসার সামনে একটি ট্রাক সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দিলে অটোরিকশার চালকসহ মোট ছয়জন নিহত হন। নিহত সুলতান আহমেদ সুমন (৪২) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরকাকড়া গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতুল্লাহ মাঝির বাড়ির শহীদ উল্যাহর ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ পরিবারে সবাইকে রেখে গেছেন। অন্যান্য নিহতরা হলেন- অটোরিকশার চালক শাহ আলম খোকন, নোয়াখালী কলেজের শিক্ষার্থী তানিম হাসান, ছাত্রী ইসরাত জাহান, বিবি কুলসুম ও জান্নাত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে সুলতান আহমেদ সুমনকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয়। তিনি স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আদালত থেকে খালাস পাওয়ার পর নোয়াখালীর মাইজদী থেকে বসুরহাটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে তাদের বহনকারী অটোরিকশাকে চাপা দেয় একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। আদালতের রায়ে মুক্তি পেলেও মৃত্যুর রায় থেকে রক্ষা পাননি সুমন। তার মৃত্যুর খবরে পরিবারের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ, এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
সুমনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহেদুর রহমান তুহিন বলেন, মামলায় জড়িয়ে সুমন দীর্ঘদিন কষ্ট পেয়েছেন। পরিবারের দুঃখের শেষ ছিল না। যারা এমন মামলায় পড়েছে, তারা বোঝে এ কষ্ট কতটা ভয়াবহ। খালাস পেলেও সুমন চিরবিদায় নিলেন। আমি একজন আইনজীবী হিসেবে গভীরভাবে ব্যথিত, এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, নিহতদের সবাই কোম্পানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান, পরে হাসপাতালে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। মোট ছয়জন নিহত হয়েছেন। গাড়ি দুটি থানায় আনা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

