কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিবির কর্মীর লাশ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের সময় লাশের মধ্যে একটি গুলিও পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার( ১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থান থেকে ২০১৩ সালে গুলিতে নিহত শিবির কর্মী মতিউর রহমান সজিবের লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়।
২০১৩ সালে ৪ জামায়াত-শিবির কর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ময়না তদন্তের জন্য আদালত ওই ৪জনের লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে নিহত শিবির কর্মী সজিবের লাশ উত্তোলন করা হয়। গুলিতে নিহত অপর ৩ জামায়াত-শিবির কর্মী সাইফুল ইসলাম, আবদুল আজিজ রায়হান ও সাইফুল ইসলাম বাবলুর লাশ পর্যায়ক্রমে কবর থেকে উত্তোলন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবেল উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই মঈনুল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, পৌরসভা আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারী মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতের স্বজনেরা।
প্রসঙ্গত; ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালিন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্য’সহ ১১২জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে।
এদিকে মামলার এজহার ভুক্ত আসামী বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসাইন ফরহাদকে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ফেনী সদর নুর হোসাইন ফরহাদকে তার বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী ফরহাদ বসুরহাট পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের মৃত নুর ইসলাম মেম্বারের ছেলে।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গণমাধ্যমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।