সদর (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকারের বিশেষ ক্ষমতার আওতায় মানবিক কারণে সারা দেশের কয়েক হাজার কয়েদিকে সাময়িক মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এই আওতায় নোয়াখালী জেলা কারাগার থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির সুপারিশ করে অধিদফতরে তালিকা পাঠিয়েছে জেলা কারা কর্তৃপক্ষ। তালিকা অনুযায়ী মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন ১০৭ জন কয়েদি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালীর জেল সুপার মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, করোনা সংক্রমণ এড়াতে নোয়াখালী কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ১০৭ জন কয়েদির নাম ঢাকা কারা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। ছয়দিন আগে এই তালিকা পাঠানো হয়েছে। ১০৭ জনের মধ্যে এক বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৮৭ জন এবং ২০ বছরের ঊর্ধ্বে কারাগারে এমন ২০ জনের নাম রয়েছে।
জেল সুপার মনির হোসেন বলেন, কারাগারে বন্দিদের রাখার জন্য ১১টি পুরুষ ও একটি নারী ওয়ার্ড রয়েছে। ধারণক্ষমতা ৩৮৮ জনের। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি ধারণক্ষমতা ৩৬৮ জন। আর নারী বন্দি ধারণক্ষমতা ২০ জন। বুধবার বিকেল পর্যন্ত বন্দি ছিল ১০৩৫ জন। এদের মধ্যে কয়েদি রয়েছেন পুরুষ ১০০৪ ও নারী ৩১ জন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মধ্যে পুরুষ ২৯২ এবং নারী আটজন রয়েছেন।
ডেপুটি জেলার নোভেল দেব বলেন, নোয়াখালী জেলা কারাগারে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নতুন বন্দিদের কারাগারের ভেতরে ঢোকানোর আগে প্রধান গেটে সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাতমুখ ধোয়ানো হয়। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। এভাবে প্রাথমিকভাবে সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভেতরে ঢোকানো হয় আসামিদের। কারাগারের রন্ধনশালা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার পর পরিবেশন করা হয়।