কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গত ৩১ জানুয়ারী চরহাজারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নিরীহ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক কিশোর বলরাম মজুমদারকে নির্মমভাবে হত্যা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের বাড়ী-ঘর,মঠ, মন্দিরে হামলা লুটপাট,জমি জবর দখল ও প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১০ টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারের ব্ঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যােগে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সাথে একাত্মতা পোষন করেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার দাবি করতে পারি। একজনতো (মুরাদ হাসান) দাবি করে ধরা খাইছেন। আমরা সবাই মিলে দাবি করলেও শেখ হাসিনা বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরতে পারবেন না। কারণ ভারতও বাবরি মসজিদের মামলায় অস্প্রদায়িক রায় দিতে পারেনি, এখানেও সম্ভব নয়।’
কাদের মির্জা নিরীহ বলরাম হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ হত্যার সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আরেকজন পুলিশ সদস্য অটোরিকশা চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। এখানেও পুলিশ জড়িত থাকতে পারে। এ জন্য তিনি পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব না দিয়ে ডিজিএফআই, এনএসআইকে দিয়ে মামলাটি তদন্তের দাবি জানিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কিশোর বলরাম মজুমদারের হত্যাকারীদের খুজে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্হা করতে হবে। এ সময় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নিহত বলরাম মজুমদারের মায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন।
উল্লেখ্য গত ৩১ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বকসি ব্যাপারী বাড়ির সামনের ধানক্ষেত থেকে মিশুক (ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা) চালক বলরামের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।