কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সল আহমদ’র বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহার ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে রাতের আঁধারে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নিয়ে একাধিক গোপন বৈঠক হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, করোনা সংক্রমণের শুরুতে গত পনের রমজানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৫০০ ব্যাগ ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। কিন্তু ইউএনও বিএনপি-জামায়াতের কতিপয় নেতাকর্মীর যোগসাজশে তালবাহানা করে এসব ত্রাণ সামগ্রী দীর্ঘ আড়াই মাসেও বিতরণ করেননি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, ত্রাণের এ বিষয়ে আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে ইউএনওকে ত্রাণ বিতরনের নির্দেশ দিলেও সে ত্রাণ বিতরণ করেনি।
চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা পাভেল ও তানজিদ অভিযোগ করেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নির্দেশনায় উপজেলার পেশকারহাট রাস্তায় মাথা সড়কে লকডাউন পালন করতে গিয়ে ইউএনও’র আক্রোশের শিকার হই আমরা। পরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় আমাদের।
বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী নেতারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপনে সরকারি বরাদ্ধ থাকার পরেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমবায় সমিতি এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন।
কোম্পানীগঞ্জে একাধিক সাংবাদিক অভিযোগ করেন, ইউএনও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একাধিক সাংবাদিককে ওনার বন্ধু বড় একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বলে নাম ভাঙ্গিয়ে প্রায় হুমকি দিয়ে থাকেন। আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখলে, আমিও আপনাদের বিরুদ্ধে লিখাতে পারি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো সত্য নয়।