নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি’র ব্যানার ব্যবহার করে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আলতাফ হোসেন ওরফে আজাদকে পিটিয়ে আহত করে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গল বার বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন হামলার শিকার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলতাফ হোসেন আজাদের মাসহ পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান আলতাফ হোসেনের মা উম্মে কুলছুম ওরফে সেতারা। উপস্থিত ছিলেন আলতাফের বোন জোবায়েদা খানম, ভাই আরিফুর রহমান ও স্ত্রী বিবি কুলছুম । লিখিত বক্তব্যে উম্মে কুলছুম অভিযোগ করেন, একই এলাকার জনৈক চৌধুরী আলমদের সঙ্গে তাঁদের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ এবং আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। চৌধুরী আলমের ছেলেরা অর্থশালী হওয়ায় তাঁরা যখন যে দলের প্রভাব থাকে তাদের ভাড়া করে বিরোধপূর্ণ ভূমি দখলের চেষ্টা চালায়।
উম্মে কুলছুম অভিযোগ করেন, গত ৫ আগষ্টের পর ছৌধুরী আলমের ছেলেরা বাড়িতে এসে পাশ্ববর্তী মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হক শাহজান, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মানছুরুল হক বাবর’র বড় ভাই ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এবং বিএনপির নেতা আবদুল হাইসহ তাঁর অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে নিয়ে য গত ৩০ জুন আবদুল হাই দলবল নিয়ে তাঁর ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বলেন, ‘চৌধুরী আলমদের সঙ্গে যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে, ওই জমি এখন থেকে তাঁরা চাষ করবে।’ তখন তাঁর ছেলে মামলা চলমান থাকার কথা বলে প্রতিবাদ করলে আবদুল হাইয়ের দলীয় সন্ত্রাসীরা তাঁর ছেলেকে টেনেহিঁছড়ে বাড়ির সামনে থেকে পাশ্ববর্তী সরকারি রাস্তার ওপর নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়।’
আলতাফ হোসেনের মায়ের অভিযোগ, ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর মেয়ে ও পুত্রবধূও হামলার শিকার হয়েছে। পরে হামলাকারীরা তাঁর ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি থানায় একটি সাজানো মামলা দায়ের করে। থানায় তাঁর ছেলেকে বিনা চিকিৎসায় ২৪ ঘন্টা আটকে রাখে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে পাঠায়। তিনি তাঁর ছেলের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় এবং তাঁকে সাজানো মামলায় জড়িয়ে হয়রানির ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।এই পরিবার সদস্যরা বিএনপিকে ব্যবহার করে জনগণকে সব সময় আতঙ্কের মাঝে রাখে।
আলতাপ হোসেন আজাদ’র বোন রেহানা আক্তার’র অভিযোগ করেন আব্দুল হাই’র সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ীতে ঘর লুটপাট ভাংচুর করেছে। আমাকে হামলা করছে। আব্দুল হাই’র পরিবার বিএপির ব্যানার ব্যবহার করে এলাকার মানুষকে জিন্মী করে রেখেছে।আব্দুল হাই’র ছোট ভাই মুছাপুর বিএনপির সাবেক সভাপতি, এক ভাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক হওয়ায় এলাকার কোন মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। আমি তাদের এই নির্যাতনের শাস্তীর দাবী জানাই।
নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল হাই বলেন, চৌধুরী আলম ও আলতাফদের মধ্যকার জায়গা-জমি সংক্রান্ত মিমাংসা করার জন্য তাঁকে থানা থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি আলতাফকে ডেকে বিষয়টি বলতেই আলতাফ তাঁর ওপর হামলা চালায় এবং তাঁকে কুপিয়ে আহত করে। পরে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আলতাফের ওপর হামলা চালায়।