কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি বিজয় র্যালী ও সমাবেশ করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ, সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ।
এসময় বিএনপি নেতা নুরুল আলম শিকদারের সভাপতিত্বে ও বসুরহাট বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন লিটনের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান ই আলম, নোয়াখালী জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহদৎ হোসেন, অ্যাডভোকেট আজম খান, নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান হাফিজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কোথাও কোনো অনিয়ম করা যাবেনা। বিএনপি যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসতে পারে, সেজন্য দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। এ অবস্থাতে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকুন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে তার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। এসময় আওয়ামীলীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের কট্টর সমালোচনা করে বলা হয়, বিগত আওয়ামী দুঃশাসন আমলে সকল অপকর্মের নায়ক বলেছিলো পালিয়ে যাবেনা। আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাড়ীতে যাবে, এখন সেখানেও যাওয়ার সুযোগ নেই। ভারতেই পালিয়ে গেছে এ সন্ত্রাসের গডফাদার ওবায়দুল কাদের।আপনি এ এলাকা থেকে নির্বাচন করেছেন অথচ এ এলাকার সর্বস্তরের জনগনের ওপর, বিএনপির নেতাকর্মদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছিলেন। নির্যাতিতরা মুখ বুঝে সব নিরবে সহ্য করেছিলো। অথচ ভারতে যখন পালাচ্ছিলেন তখন আমাদের এক যুবদল নেতা ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে আপনি ওবায়দুল কাদেরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলো। এটাই বিএনপির বদান্যতা।
সমাবেশের পূর্বে বিরতিহীন বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুর দুরান্ত থেকে আগত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত র্যালীটি বসুরহাট বাজারের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে রূপালী চত্বরে সমাপ্ত হয়।