শাহাদাত হোসেন:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূ সহিদা আক্তার পপি (২৫) হত্যার ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে এফআইআর (মামলা রুজু) হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৪ আগস্ট (সোমবার) ২ নং আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নিহতের মা খাইরুন নেছা বিজ্ঞ আদালতে যে মামলা দায়ের করেছেন উক্ত মামলা কে এফআইআর ( রুজু) হিসেবে গণ্য করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
নিহত পপি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মক্কা নগরের শফি উল্যাহ শিপনের স্ত্রী এবং একই গ্রামের ইলিয়াস চুকানি বাড়ির শামসুদ্দিন কাজলের মেয়ে। এর আগে, গত বুধবার ২৩ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জাবি আলাদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পপি মামলার আইনজীবী মো: ইমাম হোসেন কাওছার নোয়াখালী টাইমসকে বলেন,৭ বছর আগে শিপনের সঙ্গে পপির পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ভিকটিমকে যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে নানান নির্যাতন করত শিপন ও তার পরিবার। এ নিয়ে আগেও নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাতভর নির্যাতন চালিয়ে তারা তাকে শ্বাসরোধ করে পিটিয়ে হত্যা করে। পরের দিন সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার অভিনয় করে বাড়িতে মরদেহ রেখে সবাইকে ফাঁস নিয়েছে বলে জানান। পরে পুরো পরিবার মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
নিহতের মা খাইরুন নেছা গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় পুলিশ মামলা না নিলে আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি।বিজ্ঞ আদালত মামলাটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
নিহত পপি হওয়ার পর থানার কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম নেতৃত্বে মরদেহ সন্দেহজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক শ্বশুরকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।