কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আবু বক্কর ছিদ্দিক (২০) নামে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এঘটনায় শনিবার বিকেলে অপহৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের মা বিবি জয়নব ৪জনের নাম উল্লেখসহ ৮-১০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অপহৃত আবু
ওই রাতেই পুলিশ অপহরণ ঘটনায় জড়িত চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মোঃ হানিফের ছেলে আবদুর রহিম রায়হান (১৯) ও রামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মুসা মিয়ার ছেলে শেখ ফরিদ শামীমকে (২৮) গ্রেফতার করে। তবে মামলার প্রধান আসামী মো. পিয়াস ও শিপন প্রকাশ চায়না শিপনসহ অপর আসামীরা পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে রোববার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুন বাজার মধ্য চরকাঁকড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে অপহরণ ঘটনার মুল নায়ক মোঃ পিয়াস মুঠো ফোনে ভিকটিম আবু বক্কর ছিদ্দিককে ডেকে নেয়। এসময় পিয়াস তার ভাতিজির সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে ভিকটিম আবু বক্কর ছিদ্দিককে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। সে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে তাকে মারধরের পর অপহরণ করে একই এলাকার আবদুর রহিম রায়হান নামে এক যুবকের বাড়ীতে নিয়ে আটকে রাখে। বিয়ে না করলে তার কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০হাজার টাকা দাবি করে পিয়াস।
এ ঘটনায় অপহৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের পরিবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চরকাঁকড়া নতুন বাজার এলাকা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত আসামী আব্দুর রহিম রায়হান ও শেখ ফরিদ শামীমকে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণ ঘটনার মূল নায়ক পিয়াসসহ অন্য আসামীরা পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে অপহৃত সিদ্দিককে দ্রুত উদ্ধার ও অপহরণকারী দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণকারীরা ওই এলাকার চায়না গ্রুপের সদস্য। অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।