কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে মেয়ে (১৯) কে কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় মা-বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে রুবেল কসাই ও তার শ্যালক আবদুল্লাহ হোরনের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে ভিকটিমের মা আহত বিবি চানু বানু বাদী হয়ে রোববার (৫ অক্টোবর) নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে আব্দুল্লাহ হোরনকে প্রধান আসামি করে ও তার ভগ্নিপতি রুবেল কসাইসহ ৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সি আর ৫১৩/২০২৫।
এরআগে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রামপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে হামিদ মাষ্টার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী আবদুল্লাহ হোরন (৪০) ওই এলাকার আবদুল মতিনের ছেলে ও রামপুর ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের (জামায়াত ইসলামীর সহযোগি সংগঠন) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং অপর অভিযুক্ত রুবেল কসাই (৩০) একই এলাকার কালু দরবেশের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুবেল কসাই শশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকার সুবাদে ভিকটিমের মা বিবি চানু বানুর ঘরে আসা যাওয়া করতো। এ সুযোগে আহত নুর করিম সবুজের ঘরে থাকা মেয়েকে প্রায় খারাপ অঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিতেন। এতে প্রতিবাদ করায় হোরণ ও রুবেল কসাই বিভিন্ন সময় সবুজ ও তার পরিবারকে হুমকি দিতেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একই বিষয়ে পুনরায় বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ভিকটিমের বাবা সবুজ আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা বললে হোরণ ও রুবেল কসাই লোহার রড ও ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে সবুজের স্ত্রী বিবি চানু বানু ও সবুজকে গুরুত্বর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল্লাহ হোরণের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি সাজানো ঘটনা। ভিকটিম আমার বাড়ীর সম্পর্কে ভাতিজি। থানায় মামলা না কওে কোর্টে মামলা করায় প্রমাণ করে, এটি একটি মিথ্যা ঘটনা।