কোাম্পানীগঞ্জ (নোায়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুুল কাদের মির্জা,সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে।
আজ শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিকে দ্বীতীয় অধিবেশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
২০১০ সালে সর্বশেষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে সভাপতি ও নুর নবী চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।
কমিটি ঘোষণা পূর্বে প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আজকের সম্মেলন বহু প্রতিক্ষিত, কোম্পনীগঞ্জে দলীয় রেশা- রেশিতে সাংবাদিক বোরহান উদ্দীন মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলা উদ্দীন সহ দুই জন প্রাণ হারিয়েছে, নুরনবী, বাদল, আহত হয়েছে, আমি নিহতদের মৃত্যুতে আবারও সমবেদনা জানাচ্ছি, আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি, কোম্পনীগঞ্জের রাজনৈতিক সংকটের সময় এমনও দিনগেছে লজ্জায় আমি নেত্রীর সাথে দেখা করিনি, টেলিফোনে কথা বলিনি, এমনকি কারো বিরুদ্ধে একটা কথাও বলিনি, কারো অভিযোগের জবাবও দিনি, চুপ ছিলাম। আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি। যে মানুষ গুলি কোম্পানী- গঞ্জে আতঙ্কে ছিল, ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ ছিল, ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে আমাকে বার বার ফোন করতো তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাই, কোম্পানীগঞ্জবাসীর কাছে আমি ক্ষমা চাই, আমি প্রতিনিধি আমি কিছু করতে পারিনি অনেককে। আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, ওই সময় মানুষ দুর্ভোগ,যে আতঙ্ক, যে যন্ত্রণা পেয়েছে সে জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য।
বিএনপির উর্দ্দেশ্যে তিনি বলন, বিএনপির আন্দোলন মানে আগুন সন্ত্রাস। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক,সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি জানান দিচ্ছে তারা আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করবে। মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা অশান্তি চাই না।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট হত্যা করতে চেয়েছিল। জিয়াউর রহমান মেরেছে বঙ্গবন্ধুকে। মুফতি হান্নান বলেছে হাওয়া ভবন থেকে তার নির্দেশ পেয়ে গ্রেনেড হামলা করেছে। তারেক রহমানের লোকেরা এখানে আমাদেরকে ভয় দেখান তারেক রহমান আসবে বীরের মতো। কাপুরুষের মতো যে পালিয়ে গেছে, সে বীরের মতো আসবে! এত বছরে যা ঘটল না। এখন ঘটবে সেটা বিশ্বাস হয় না।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম।
এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান। সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নোয়াখালি জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন,মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, মিজানুর রহমান বাদল। সম্মেলন সঞ্চলনা করন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরনবী চৌধুরী ।