কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খৎনা করার সময় আল নাহিয়ান তাজবীর (৮) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গের পিনিস মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
পালালো সেকমো ও পরিচ্ছন্ন কর্মী।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ ঘটিকায় এ ঘটনা ঘটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।
জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর মেডিকেল অফিসার ডা: লায়লা সাবরিনা শাহরিন ও জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বিজয় কুমার দে’র ডিউটি ছিল তারা দুই জনেই কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে অন্যত্র ছিলেন।
তাদের অনুপস্থিতে শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার( সেকমো) সৌরভ ভৌমিক ও পরিচ্ছন্ন কর্মী দুই জনে মিলে তড়িঘড়ি করে আল নাহিয়ান তাজবীরের (৮) খৎনা করার সময় পুরুষাঙ্গের পিনিস মাথা কেটে ফেলে।
পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় শিশুটির আত্মচিৎকারে তার পিতা মো. আলমগীর হোসেন দ্রুত অপারেশন রুমে ঢুকে দেখতে পান তার সন্তানের রক্তাক্ত অবস্থায় কেবিনের বেড ভিজে যায়। এসময় কিছু বলার আগেই শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিকসহ সহযোগী অপর সেকমো বিমরু ও পরিচ্ছন্ন কর্মী আহছান উল্লা মহুর্তের মধ্যে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতালে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আবু নাছের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিমকে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক শিশু আল-নাহিয়ান তাজবীরকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম বলেন, সৌরভ ভৌমিক সিভিল সার্জনের অনুমতি প্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে জরুরি বিভাগে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে। তার অনুপস্থিতে শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিক তড়িঘড়ি করে খৎনা করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যাপারে শিশুটির পিতা আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের জিজ্ঞেস করলাম ডাক্তার কোথায়? তারা বলে ডাক্তার লাগবে না আমরা পারব। আমার ছেলেকে গরুর মত তড়িঘড়ি করে খৎনা করতে গিয়ে তার লিঙ্গের ফিনিক্সের মাথা কেটে ফেলে। এতে রক্তে পুরো বেড ভেসে যায়। পরে আমি তাদেরকে ধরতে গেলে সৌরভ ভৌমিকসহ ৩ জনই পালিয়ে যায়। পরে অন্য ডাক্তার এসে আমার ছেলেকে ৩য় তলায় মুক্তিযুদ্ধা কেবিনে ভর্তি করে। আমার ছেলের অবস্থা আশংকা জনক। আমি এদের বিচার চাই।
আল নাহিয়ান তাজবীর বসুরহাট চাইল্ড কেয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সেলিম বলেন, পুরো ব্যাপারটা সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি। সিভিল সার্জন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ।