চাটখিল (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ৫ বছর বয়সী আপন চাচাতো বোন আছমা আক্তারকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে হত্যার পর ধর্ষণ করার লোহমর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছে মো.শাহাদাত হোসেন (২২)। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে চাটখিল থানা পুলিশ। সে উপজেলার ৪ নম্বর বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. বাবুলের ছেলে।
রবিবার সকালে নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ওই জিডির সূত্র ধরে তদন্ত নামে। একপর্যায়ে শিশু নিখোঁজ থাকার ৯ দিনের মাথায় শুক্রবার ১ এপ্রিল দিবাগত রাতে নিহত শিশুর আপন চাচাতো ভাই শাহাদাতকে সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার ১০ দিন পর নিহতের বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানতে চাইলে চাটখিল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত আসামি শিশু আছমাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে প্রথমে হত্যা করে তারপর তাকে ধর্ষণ করে লাশ বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকে ফেলে দেয়। তিনি আরো জানান, নির্বিঘ্নে শিশুটিকে ধর্ষণ করতে অভিযুক্ত আসামি প্রথমে তাকে হত্যা এবং তারপর ধর্ষণ করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে সে জানায়।