এএইচএম মান্নান মুন্না :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে রোববার (২৪ জুলাই) সকাল ১১ ঘটিকায় ব্যতিক্রমধর্মী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ‘জনতার কথা’ শীর্ষক উন্মুক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নির্বাচনে এই এলাকার মানুষের প্রধান দাবী ছিলো এলাকায় সালিশ বাণিজ্য বন্ধ করা, আজকে ঘরে-ঘরে,পরিবারে-পরিবারে, বাড়িতে-বাড়িতে হানাহানি চলছে। জনপ্রতিনিধিদের পেছনে হাটতে হাটতে স্যান্ডেল ক্ষয় হয়ে যায়। প্রশাসনের কাছে গিয়েও মানুষ সু -বিচার পাচ্ছেনা। এটি থেকে উত্তরণের পথ মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। উত্তোরণের পথ খুঁজে সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আইয়ুব আলী।
শপথ নেওয়ার চার মাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে জবাব দিহিতার উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী। এতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতায় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ফিরিস্তি তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, ইয়াবা, হেরোইন, আইস সেবনসহ নারী নির্যাতন বৃদ্ধির নানা অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
এছাড়া কিশোর গ্যাং সদস্যদের যন্ত্রণায় সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ বলেও অভিযোগ করে বিভিন্ন পেশার মানুষ।
উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত সাধারণ জনগণের সকল প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান আইয়ূব আলী বলেন,আমি আমার নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে দায়ীত্ব পাওয়ার পর থেকে এই সল্প সময়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের চলাচলের রাস্তা সংস্কার, মসজিদের ঘাট পুল কাল- ভার্টসহ বেশ কয়েকটি রাস্তার সলিং এর কাজ সম্পন্ন করি। এছাড়াও মুছাপুর ক্লোজার এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়ন প্রকল্প ভুক্ত করে প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়নাধীন সহ বাংলা বাজারে বহুতল কাঁচা বাজার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ারও ঘোষণা দেন।
এলাকায় ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাং প্রশ্নে চেয়ারম্যান আইয়ূব আলী আরো বলেন, ছোট ছোট ছেলেরা মোবাইলে আসক্ত হচ্ছে,নেশাগ্রস্থ হচ্ছে,অবৈধ কাজে লিপ্ত হচ্ছে এর জন্য প্রথম দায়ী তাদের পরিবার। পরিবারের মা-বাবা যদি সচেতন না হয় আমাদের একার পক্ষে এই নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই সকল মা বাবাকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন আলোচিত এ চেয়ারম্যান।
অপর দিকে চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন পেশার মানুষের প্রশ্নের জবাব দেন এবং অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করারও আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল হক মিয়া, মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবর, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবদুল গফুর, ইউপি সদস্য আহছান উল্যাহ ভূট্টো, এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আয়েশা আক্তার জ্যেসি, ইউপি সদস্য আবদুর রহিম বাবুল, মহিলা সদস্যসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।