এএইচএম মান্নান মুন্না :: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু-মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামীতে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিলে ২৮তারিখের (অক্টোবর) মতো বিএনপিকে যেমনি পালাতে হবে, আবার উপজেলা নির্বাচনে না এলো রাজনীতি থেকে পালাতে হবে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রী তার মায়ের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার বড় রাজাপুর গ্রামে তার নিজ বাড়িতে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল ও ভোজের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আগামি উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আরো অনেক বেশি হবে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি না এসে ভুল করেছে, এবার উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি না এলে এ ভুলের খেসারত তাদেরকে বহুদিন দিতে হবে।
বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর তারা রাজপথ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আগামীতে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিলে ২৮ তারিখের মতো তাদেরকে আবারও পালিয়ে যেতে হবে।
এরআগে দুপুর ১টায় দাগনভুঞাঁ-বসুরহাট-সোনাপুর সড়ক প্রকল্পের চলমান কাজ পরিদর্শন শেষে বসুরহাট পৌরসভার বড়রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে মা-বাবার কবর জিয়ারত শেষে পুলিশের দেওয়া গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন এবং পরে মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। মেজবান অনুষ্ঠানে ১’শ মণ গরুর মাংস দিয়ে ১৫ হাজার লোকের জন্য দুপুরে ভোজের আয়োজন করা হয়।
২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাত ১০টা ৪০মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওবায়দুল কাদেরের মা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মারা যান। পরদিন নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের এমপি মোহাম্মদ আলী, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের এমপি মামুনুর রশিদ কিরন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের এমপি মোরশেদ আলম, ফেনী-২ (সদর) আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক এমপি আয়েশা ফেরদাউস, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর কাদের মির্জা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল,কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রায়হান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শাহাব উদ্দিন, ফেনী পৌরসভা মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, তাশিক মির্জা কাদের, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।