কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন চাকরি পেতে হলে প্রথম যোগ্যতা মেধাবী হতে হবে। মেধাবীরাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে একাই লড়ে যাচ্ছেন। সামনের দিনে দেশ পরিচালনায় ছাত্রদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। এতে প্রতিযোগিতা হবে মেধার সঙ্গে মেধার। অন্য কিছুতে টিকে থাকা যাবে না।
রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে কোম্পানীগঞ্জের বামনী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, শিক্ষার্থীদের একেকজনকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং ওবায়দুল কাদেরের মতো হয়ে গড়ে উঠতে হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য) ভিন্নদল করতেন কিন্তু জাতীয় নেতা ছিলেন, তিনি এখন আর আমাদের মাঝে নেই। ওবায়দুল কাদেরও সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে মাত্র দেশে এসেছেন, যেকোনো সময় আমাদের ছেড়ে চলে যেতে পারেন। নেতৃত্বের এ শূন্যতা পূরণ করতে মেধার প্রয়োজন। আমি চাই তোমরা একেকজন মওদুদ-কাদের হয়ে গড়ে ওঠো।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সজাগ থাকবেন। ছাত্রনেতা পরিচয় দিয়ে পরীক্ষার কক্ষে কেউ যাতে প্রবেশ না করে। এছাড়া অন্য কোনো উপায়ে নকল সরবরাহ করলে তা বরদাশত করা হবে না। যে দলেরই হোক তাদের প্রশ্রয় দেবেন না। পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষা সংক্রান্ত জিনিসপত্র ছাড়া অন্য কিছু আনতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পড়ালেখায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলেরা বেশ এগিয়ে। আমরা চাই তোমারা সবাই মেধার বিকাশ ঘটিয়ে দেশের কাজে নিয়োজিত হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখনকার ছাত্রছাত্রীরা সারারাত স্মার্টফোনে ফেসবুক-ইউটিউব দেখে আর সারাদিন ঘুমায়। কেউ কেউ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এটা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ রাহবার হোসেনের সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, অভিভাবক সদস্য বামনী হাইস্কুলের শিক্ষক শাহজামাল সবুজ, কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ছিদ্দিকুর রহমান, প্রভাষক লিপিকানা স্বর্ণা, শিক্ষার্থী মোক্তাহের হোসেন, আয়েশা আক্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন।