কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক,পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্র-জনতা। পরে ঘরগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এ সময় সেখানে ‘নারায়ে তাকবির’, কাউয়া কাউয়া’ ও ‘কাউয়া কাদের’ সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ঘোষনা দেন, মিশন কাউয়া কাদের বেলা ১১ টা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতা জড়ো হতে থাকে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান নিয়ে বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বড় রাজাপুর এলাকার কাদেরের বাড়িতে প্রবেশ করে হাতুড়ি শাবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। বাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ শেষে ওবায়দুল কাদেরর আরেকভাই শাহাদাতের বাড়ীতেও অগ্নিসংযোগ করে ছাত্র জনতা।
স্থানীয়রা জানান, বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়ি হলেও তিনি এ বাড়িতে থাকতেন না। মূলত এ বাড়িতে তার ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, তার আরেক ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাদাত হোসেন ও মাস্টার ফজলুল কাদের মিন্টু খান থাকতেন। নোয়াখালী সফরে আসলে ওবায়দুল কাদের এ বাড়িতে আসতেন, নেতা-কর্মীদের সাথে স্বাক্ষাত এবং দুপুরে খাওয়ার পর বিশ্রাম নিয়ে পুনঃরায় চলে যেতেন।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বলেন, গত জুলাই আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর যে হামলা ও নিপীড়ন চালিয়েছল তার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ওবায়দুল কাদের । তার নির্দেশে নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে, তার নির্দেশে চলছিল শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন। আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ অপকর্মের মূলহোতা ওবায়দুল কাদের। তিনি এখনও পলাতক, পালিয়ে থেকেও তার দলের নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছেন এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন।
ছাত্রজনতা আরও অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্টের পর ওবায়দুল কাদেরের ভাইরা তাদের পরিবার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর কে বা কারা ইন্ধন দিয়ে তার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটি পুনঃনির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, বুধরাত রাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর চালায় ছাত্রজনতা। এরপর সুধাসদনেও আগুন দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালগুলোতে হামলা চালানো হয়।
