নোয়াখালী প্রতিনিধি:
সপ্তাহের ব্যবধানে নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র চৌমুহনী বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। কেজিতে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চালও। এ ছাড়া বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তবে আলুসহ বিভিন্ন সবজির দাম কমেছে। অপরদিকে চাল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটও আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে। প্রশাসনের সক্রিয় তৎপরতা না থাকলে আবারও নিন্ম আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়বে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
খুচরা পর্যায়ে গতকাল প্রতি কেজি দেশী নতুন (মুড়িকাটা) পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে এই দাম ছিল ৪৫-৫৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে শুক্রবার ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে দেশ পেঁয়াজে কেজিতে ৩ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজে ৫-১০ টাকা দাম বেড়েছে। তবে দেশী পুরনো পেঁয়াজ বাজারে নেই বললেই চলে।
আড়ৎপট্টিসহ বাজারের প্রায় সকল পট্টিতে একই অবস্থা। পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. রাজিব হাসান বলেন, বাজারে দেশী নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। বর্তমানে যে দামে দেশী নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, তার তুলনায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ে। এ কারণে লোকসান এড়াতে কয়েক দিন ধরে ভারত থেকে খুব কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এই আমদানি ঘাটতির কারণে পেঁয়াজের দাম সার্বিকভাবে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। টানা দুই সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। গত সপ্তাহে বাজারে হঠাৎ করে সোনালি মুরগির দাম বাড়ে।
তখন ২৫-৪৫ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি হয় ৩২০-৩৪০ টাকা। শুক্রবারও এই দরেই সোনালি বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরেই ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কম। এক ডজন ডিম এখন ১২৫ টাকায় কেনা যায়।
বাজারে দেশী নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। বর্তমানে যে দামে দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, তার তুলনায় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ে। এদিকে প্রায় দেড় মাসেও স্বাভাবিক হয়নি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ। গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো এখনো বাজারে ঠিকভাবে বোতলজাত সয়াবিন সরবরাহ করছে না বলে অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের। তাঁরা জানান, কোম্পানিগুলো তেল দিচ্ছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়।
দুই মাস আগেও সবজির বাজারে অনেকটা আগুন দাম ছিল। তবে পৌষের কনকনে শীতের ঠান্ডার সঙ্গে সবজির বাজারেও শীতলতা এসেছে। সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। যেমন খুচরা পর্যায়ে মাসখানেক আগে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা, যা গতকাল শনিবার ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এভাবে দাম কমার পরে প্রতি কেজি বেগুন ৩০-৫০ টাকা, টমেটো ৫০-৭০ টাকা, শিম ২৫-৪০ টাকা, শালগম ২০-২৫ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর দামেও স্বস্তি ফিরেছে। বাজারে এখন নতুন আলু বেশি বিক্রি হয়। প্রতি কেজি আলুর দাম রাখা হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। মাসখানেক আগেও এক কেজি আলু কিনতে ৭০-৭৫ টাকা লাগত।
নোয়াখালীতে বেড়েছে পেঁয়াজ ও চালের দামসিন্ডিকেটদের কাছে জিন্মী ক্রেতারা
Date: