নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে আবদুল লতিফ মিন্টুকে (৪৫) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারের তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার মহাবুল্লাপুর গ্রামের জাফর আহম্মদ ছেলে জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ কালা বাবু (২৬), দেবকালা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে ফিরোজ আহম্মদ প্রকাশ রাকিব (২০) ও চাঁনকাশিমপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রাসেল প্রকাশ শিশু রাসেল (২৭)। যারমধ্যে রাকিব ও কালা বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ এবং শিশু রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মিন্টু হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের একটি দল ও বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। অভিযানকালে রাতে গোপালপুর থেকে শিশু রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপরদিকে মঙ্গলবার ভোরে গোপালপুর ইউনিয়নের পৃথকস্থান থেকে বাবু ও রাকিবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তবে এসময় হত্যায় ব্যবহৃত কোন অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আবদুল লতিফ মিন্টু হত্যার ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) বেলাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে বেগমগঞ্জ থানার মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকাল ৩টার দিকে গোপালপুর ইউনিয়নের কবির বাজার এলাকায় আবদুল লতিফ মিন্টুর গতিরোধ করে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এসময় তারা মিন্টুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিন্টুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মহাবুল্লাপুর গ্রামের সড়কের পাশে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ মিন্টুকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে মারা যায় মিন্টু। নিহত মিন্টু ২০২২ সালের ৭ জুলাই গোপালপুর ইউনিয়নে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশারকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৫নং আসামি ছিলেন।