নিউজ ডেস্ক :: নোয়াখালী জেলায় সংসদীয় আসন ছয়টি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ছয়টি সংসদীয় আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার লক্ষ্যে ৩৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) থেকে ৭ জন, নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) থেকে ৯ জন, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) থেকে ৫ জন, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) থেকে ৭ জন, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে একজন এবং নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে ৫ জন।
নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার রুহুল আমিন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোহাম্মদ ফারুক, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আবদুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই।
এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, আমি শেখ হাসিনার উন্নয়ন চাটখিল সোনাইমুড়ী মানুষের মাঝে পৌঁছে দিয়েছি। কোনো সরকারি বরাদ তসরুফ করিনি এবং কোনো নেতাকর্মীকে করতে দেইনি। আমি নৌকা পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন তার জন্য আমরা সবাই কাজ করব।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৯ জন। তারা হলেন— বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাফর আহমেদ চৌধুরী, অর্থনীতি সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ এফসিএ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর, ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ।
নোয়াখালী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম বলেন, আমার পাওয়ার কিছু নেই। আমি জনগণকে দিতে এসেছি। আমার এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এমন জনপদ নেই। আমি নৌকা পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। আমি জনগণের জন্য আরও কিছু করতে চাই।
নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা ৫ জন হলেন— বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ কিরণ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফর ঊল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদ, চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সাল, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম।
এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ কিরণ বলেন, আমি দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য থেকে মানুষের পাশে ছিলাম। বিএনপির ঘাঁটি থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জকে আমি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে বানিয়েছি। শিল্প কারখানায় আজ সমৃদ্ধ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। এবারও আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সাতজন। তারা হলেন— বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম খায়রুল আনাম সেলিম, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. বশীর আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী এ বি এম শাহজাহান শাহীন এবং নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাহিত্য সংস্কৃতি সম্পাদক সোহাগ চৌধুরী।
নোয়াখালী-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, আমার বাবা একজন দানবীর ছিলেন। আমাকে মানুষ নগদ চৌধুরী বলে। আমি তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম আছি থাকব। আমি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছি। এই সদর-সুবর্ণচরের উন্নয়নে ছিলাম। আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন।
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েছেন একজন। তিনি হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের এমপি।
সেতুমন্ত্রীর ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, মন্ত্রী মহোদয় আমাদের নোয়াখালীর গর্ব। তিনি এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন। জনগণ আবারও তাকে চায়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আবারও মনোনয়ন দেবেন। এ মন্ত্রীকে আমরা ভোট দিয়ে আবারও নির্বাচিত করব।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়া ৫ জন হলেন— বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আমির, হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ছাইফ উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল চৌধুরী।
এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া আলোকিত করেছেন। আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হাতিয়া। এই হাতিয়া শান্তির জনপদ। আমি হাতিয়ার মানুষের সেবা করতে চাই। মানুষের পাশে থাকতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনীত করবে আমরা তাকে গ্রহণ করব।