আজগর আলী :: ঐতিহাসিক ও ভৌগলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানীগঞ্জ-কবির হাট (নোয়াখালী-৫) নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এর মৃত্যুর পর কার্যতঃ এ আসনের জাতীয়তাবাদী শক্তি স্তিমিত হয়ে পড়ে। দলটির নেতা-কর্মিগণ হয়ে পড়েন নিতান্ত অভিভাবকহীন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে নেতা-কর্মীরা যখন দিশেহারা ; তখনই এ আসনের জাতীয়তাবাদী তাঁবুতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ২০০০ সাল থেকে মওদুদ আহমদ সাহেবের রাজনৈতিক-সহচর দেশের বিখ্যাত আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান মেট্রো গ্রুপ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় জীবন-বীমা কোম্পানী ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লি. এর বর্তমান চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, কোম্পানিগঞ্জ শাখার আহবায়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আলহাজ্ব মো. ফখরুল ইসলাম।

আবু সাঈদের মত দু-হাত প্রসারিত করে এ আসনের নেতাকর্মীদেরকে পরম যত্নে আগলে রাখেন তিনি । ফ্যাসিস্ট হাসিনার দায়ের করা সকল মামলা-মোকদ্দমাকে মোকাবিলা করেন স্বউদ্যোগে, সফলভাবে এবং তিনি সবসময় সর্বাত্মকভাবে আহত নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ আসন থেকে হাসিনা-বিরোধী সকল আন্দোলনকে জোরদার ও বেগবান করার লক্ষ্যে দুর্বার ভূমিকা রেখে একজন সত্যিকারের জননেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ফলস্বরুপ হাসিনা কাদের গং এর রোষানলে পড়ে তিনি নিজেই ঢাকা-নোয়াখালী মিলে প্রায় ২০ টিরও অধিক রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়েছেন, পুলিশি নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং প্রায় দীর্ঘ ৫ মাস ফ্যাসিস্ট হাসিনার কারাগারে বন্দী ছিলেন। এমনকি খুনি হাসিনা তার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রযন্ত্রকে লেলিয়ি দিয়ে মো. ফখরুল ইসলামের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে ।
কিন্তু, ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার সকল অপশক্তি দিয়েও উনাকে রুখতে পারে নি। বরং তিনি দিগুণ উৎসাহে নেতাকর্মীদের বটবৃক্ষের মত আগলে রেখে আন্দোলনকে আরও ক্ষুরধার করে তোলেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম ফেনী-মাইজদী-সহ দেশের বিভিন্ন-স্থানে হাসিনা-বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচীকে সফল করার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ।
ফলস্বরূপ সারাদেশে দুর্বার জনমত তৈরী হওয়ার প্রেক্ষিতে ৫ আগষ্ট- ২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনি হাসিনার নির্মম পতন হলে বাংলাদেশের মানুষের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ।
আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম প্রতিশোধোন্মূখ না হয়ে তাঁর নেতা-কর্মীদেরকে ধৈর্য ধারন করে বিজয় উদযাপন করতে নির্দেশ দেন এবং কোনো রাজনৈতিক চাঁদাবাজকে প্রশ্রয় না দেওয়ার দ্যর্থহীন ঘোষণা দেন। ফলস্বরূপ ৫ আগস্ট-পরবর্তী কোনো ধরনের অনিয়মের কাদা তাঁর গায়ে লাগতে পারে নি, লাগে নি । বরং ৫ আগস্ট পরবর্তী ভারতের পানিআগ্রাসনে সৃষ্ট বন্যায় অতীতের মত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নজীরবিহীন ভূমিকা রেখে সর্ব-মহলে প্রসংশিত হন তিনি।
সম্প্রতি জনদরদি এবং আজীবন গণতন্ত্রকামী এ নেতা এ নির্বাচনী এলাকায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে গণ-সংযোগ করেন এবং বিভিন্ন উৎসবাদিতে সাধারণ মানুষের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে জনতার কাতারে আপনভাইয়ের ন্যায় শামিল হন। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ এবার একটি অবিস্মরণীয় ঈদ উদযাপন করতে সক্ষম হন। এলাকায় তাঁর এ বিরামহীন পদচারনায় নির্বাচন না আসার আগেই এলাকায় একটি স্বতস্ফুর্ত নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে।
আর এটা কেবল সম্ভব হয়েছে তাঁর কর্মিবাৎসল্য, অহিংস মনোভাব ও আন্তরিক বদান্যতার দরুন। তারঁ সকল কর্মযজ্ঞের ফলস্বরূপ দলমত নির্বিশেষে তিনি এখন এলাকার মানুষের একজন ভরসার পাত্র হিসাবে আভির্ভূত হয়েছেন।
আশা করা যাচ্ছে তিনি বাংলাদেশের সর্বাধিক আলোচিত এ আসনটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে নোয়াখালী ৫ আসন তার হারানো গৌরব ফিরে পাবেই।
লেখক : মো. আজগর আলী
ভিপি, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি.