কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরীর বহিস্কারের দাবি তুলেছে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত টানা ৬ ঘন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি শাহ জামাল সবুজ’র সভাপতিত্বে ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এ বহিষ্কারের ঝড় উঠে। সভায় ৪টি এজেন্ডার মধ্যে এটি ছিল উল্লেখযোগ্য।
সুত্রে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরীর একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। উক্ত অডিও ক্লিপে ইকবাল বাহার চৌধুরী বিএনপির একজন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যাবসায়ীকে মামা-ভাগিনা পরিচয়ে কথা বলতে শোনা যায়। অডিওতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজিস সালেকিন রিমন ও সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল আলমকে ব্যাক্তিগত আক্রমন করে গালিগালাজ করতে শোনা যায়। এছাড়াও ‘নির্বাচন আসলে আমরাও চুপ থাকব এখন পদে থাকার কারনে কিছু বলতে পারছিনা’ বলতে শোনা যায়। তার এমন কপোথকথনে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ভাইরাল অডিও রেকর্ড এর নিন্দা জানিয়ে তাকে বহিস্কার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক সিরাজিস সালেকিন রিমন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি বিগত ১২বছর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দায়িত্বে আছেন, আগে সম্পাদক ছিলেন বর্তমানে তিনি সভাপতি। ভিন্ন দল থেকে এসে আওয়ামীলীগের সূবর্ণ সময়ে দলীয় নমিনেশন নিয়ে তিনি ২ বার চেয়ারম্যান ছিলেন। বিএনপির একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সাথে তার কিসের এত সখ্যতা? দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ত্যাগি নেতৃবৃন্দকে গালিগালাজ করে অপমান করে দলকে ভাগ করে রাখা এবং নির্বাচন নিয়ে কথা বলে দলকে বিতর্কিত করা দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী বলে আমি মনে করি। এটি কারো ব্যক্তিগত ও একার সিদ্ধান্ত নয়, দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত, বর্ধিত সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ৮০ জন দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত থেকে তার বহিস্কার দাবি করেছে। আমরা রেজুলেশন আকারে তা উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে প্রেরণ করব, উপজেলা আওয়ামীলীগ তা সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরীর সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।