নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট ও সদরের অংশ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে দলের বিদ্রোহী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের বিরুদ্ধে। তিনি দলের সহ-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সম্পাদক।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে তিনি মনোনয়ন চাইলে তা পাননি। এরপর থেকেই তার অনুসারীরা এলাকায় দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির নেতা ও ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাটসহ নোয়াখালী-৫ এর বিভিন্ন এলাকায় তাকে স্বাগত জানিয়ে নেতাকর্মীরা ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ শুরু করেছেন। প্রচারণায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণেও ঢেউ উঠেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
এমন পরিস্থিতিতে মনোনয়নবঞ্চিত বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ তার অল্প কিছু অনুসারীকে দিয়ে কবিরহাট এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন—এমন অভিযোগ কিছু নেতাকর্মীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কবিরহাটের এক বিএনপি নেতা বলেন, ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলাম নিয়মিত চাঁদাবাজি ও অসংগতি নিয়ে কথা বলছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু ব্যক্তি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মতিন লিটন বলেন, ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আমরা সবাই একতাবদ্ধ। ভেদাভেদ ভুলে আমরা মাঠে কাজ করছি।
কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন জানান, “মনোনয়ন ঘোষণার পর কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট বিএনপি একসাথে মাঠে নেমেছে। কিছু ব্যক্তি আবেদের পক্ষ নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে, বিষয়টি জেলা নেতাদের জানানো হয়েছে।
তবে আবেদের ঘনিষ্ঠদের দাবি—এ ধরনের বিশৃঙ্খলার সঙ্গে আবেদের কোনো যোগ নেই। এলাকার কিছু ‘অতিউৎসাহী’ ব্যক্তি নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য পরিস্থিতি ঘোলাটে করছেন।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কামাল হোসেন বলেন, এর আগেও তারা দলকে বিভক্ত করেছে। এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো জানান, মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মতামত জানতে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

