ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শামিমা জাহান সুইটি ফার্মেসিতে ঢুকে প্রথমে ইমাম মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে সুইটি ধীরে ধীরে ইমামের কাছে গিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন। মারধর করতে করতে তাঁকে ফার্মেসির ভেতরে নিয়ে যান সুইটি।
জানা গেছে, গতকাল সকালে স্থানীয় হাজী নূর ইসলাম মসজিদের ইমাম হাফেজ মাহমুদুল হাসান মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রাইম হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাবুবুর রহমান মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর গায়ে ধুলো পড়ার অভিযোগে ইমামকে গালমন্দ করার পর একপর্যায়ে মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। ও
ই ঘটনার পর বিকেলে মাহাবুবুর রহমানের স্ত্রী প্রাইম হসপিটালের চেয়ারম্যান শামিমা জাহান সুইটি হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিতে পেয়ে মাহমুদুল হাসানকে আবার মারধর করেন।
এ বিষয়ে জানতে শামিমা জাহান সুইটি এবং তাঁর স্বামী মাহাবুবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা রিসিভ করেননি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, নির্যাতনের শিকার ইমামকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী কওমি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ইমামকে মারধরের ঘটনায় সোমবার থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পরে থানায় সবার উপস্থিতিতে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রী দুজনই ক্ষমা চেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাওলানা মাহমুদুল হাসান তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছেন।