নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নারী জাগগরণের বিদ্যাপিঠ মাকছুদাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ,স্মার্ট টিভি, সার্ভার বৈদ্যুতিক ফ্যান,চুরির ঘটনায় মামলা করেছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন।
মামলার আসামী পিয়ন ও পরিচ্ছন্ন কর্মী গ্রেফতার। তাদেরকে ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন।
জানাগেছে,ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে সারা দেশের নেয়ায় ৬ জুন থেকে ১৯ জুন বিদ্যালয় বন্ধ ছিলো। বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরী না থাকায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মীর মো: নাছেরুর রহমান( দপ্তরী) ও পরিচ্ছন্ন কর্মী শরিফ উল্যাহ কে রাত্রী কালীন সময়ে বিদ্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়।
সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে ১৭ জুন বিদ্যালয়ে আসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন।তিনি নৈশ্য প্রহরী মীর নাছেরুর রহমানকে নিয়ে পুরানো ভবনের আইএলপি ল্যাবে গিয়ে দেখেন ২০ টি ল্যাপটপ, ২০টি চেয়ার, ও অন্যন্য কক্ষের ১৪টি বৈদ্যুতিক ফ্যান, ১টি স্মাট টিভি, ১টি সার্ভার রাউডার,নেই। এর পূর্বেও স্কুলের টিউবওয়েল চুরি, একাডেমিক ভবনের বাথরুমের কল চুরি,সহ অন্যান্য জিনিস পত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, পিয়ন নাছেরুর রহমান এর বিরুদ্ধে এর পূর্বে স্কুলের ডাব চুরি, স্কুলের পুরনো টিন, রড়, চুরি, বিদ্যুৎ বিল ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করার মৌখিক অভিযোগ করেছেন শিক্ষক রুহুল আমিন।
সম্প্রতি স্কুলের ল্যাপটপসহ অন্যান্য জিনিস পত্র চুরি হওয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পিয়ন নাছেরুর রহমান ও পরিচ্ছন্ন কর্মী শরিফ উল্যাহকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ জিজ্ঞাসা করলে কোন সদোত্তর দিতে না পারায় তাদেরকে সন্দেহের তালিকায় নেয়া হয়।পরে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে ২১ জুন কোম্পানীগঞ্জ থানায় দুই জনকে আসামী করে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
সূত্রে আরো জানা গেছে, পিয়ন নাছেরুর রহমান তার বেতনের অনুকূলে ব্যাংক থেকে ঋণ( লোন) নিয়েছে। ব্যাংক তার বেতন থেকে ঋণের টাকা কর্তন করার পর তার হাতে নগদে মাত্র ১৫’শ টাকা থাকে। এই ঋণ( লোন) নেয়ার পর থেকে সে প্রতিমাসে টাকার সংকটে থাকেন।
অপর দিকে পিয়ন নাছেরুর রহমান এরপূর্বে যে সকল কর্মস্থলে চাকুরী করেছেন ওই কর্মস্থলেও নানান অভিযোগ রয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান।
গ্রেফতার হওয়ার আগে পিয়ন নাছেরুর রহমান’র সাথে চুরি হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাকে নাইটে দায়িত্ব দেয়ার পর এক-দুই দিন বাসায় ছিলাম। রাতে কর্মস্থলে ডিউটিতে ছিলাম না এবং ল্যাবের চাবি গুলি প্রধান শিক্ষক এর কাছে ছিলো আমার কাছে ছিলোনা।
পরিচ্ছন্ন কর্মী শরিফ উল্যাহ জানান, আমি বন্ধের মধ্যে কর্মস্থলে ছিলাম না, কয়েক দিন ঢাকায় ছিলাম।
তবে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সকল গেইটও তালা গুলি অক্ষত ছিলো।
এব্যাপারে, কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী ফৌজলু আজিম জানান, মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামীকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদেরকে ৫ দিনের রিমাণ্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। চেষ্টা চলছে আশাকরি চুরি হওয়া জিনিস গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।