নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর জেলা বিএনপির নেতা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম বলেছেন,
আওয়ামী লীগ থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির নাম ভেঙ্গে কোন চাঁদাবাজি সন্ত্রাস করবেন না। কেউ কাদের মির্জা হতে চেষ্টা করবেন না। আমাদের নেতা তারেক জিয়ার ঘোষণা।সাধারণ জনগণের পাশে যে নেতা থাকবেন আগামীতে মনোনয়ন তিনি পাবেন।আমরা জনগণের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। এ অঞ্চলের মানুষ বিগত ১৭ বছরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন গুলোতে ভোট দিতে না পারায় এখন জনগন স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। বিগত আওয়ামী সরকার আমলে ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই সন্ত্রাসের গডফাদার মির্জা কাদেরের লালিত সন্ত্রাসী হেলমেট বাহিনীর প্রতিরোধের কারনে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি।
সোমবার দুপুরে উপজেলার বসুরহাট বাজারে ঈদ উল আযহা পরবর্তী বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের সাথে সাক্ষাত বিশাল এক শোড়াউন শেষে তাঁর ভবভবনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, বর্তমান সময়ে কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। এ জনপদে আর কখনও সন্ত্রাসের গডফাদার মির্জার মত সন্ত্রাসীর জন্ম হতে দেয়া যাবেনা।আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য সকলেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে নিরিখে আমিও প্রস্তুতি নিচ্ছি। দল যদি আমাকে উপযুক্ত মনে করে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমারও নির্বাচন করার পরিপূর্ন প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা আমাদের কথা এবং জনগনের পক্ষে কথা বলে যাব। আমরা সকল অনিয়ম,অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার ,চাঁদাবাজি , দখলবাজি, লুটতরাজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব। তবে এক্ষেত্রে কাউকে কোনো আঘাত দিয়ে নয় .ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিকভাবে বলবো।
যারা অতিতে সন্ত্রাস লুটপাট অনিয়ম করেছে, তারা ছাড়া দেশের সকল মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ একটি গ্রহণযোগ্য,নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। আমরা সরকারসহ সকলকে বলবো, তারা যেন নিরপেক্ষ থাকে। জনগণ বা ভোটাররা যেন স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীকে ভোট দিতে পারে। সন্ত্রাসী ও লুটেরা সংখ্যায় অল্প কয়েকজন। জনগণ যেহেতু ঐক্যবদ্ধ,সেহেতু এ গোষ্ঠি কিছুই করতে পারবেনা।একটি শান্তিপূর্ন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই এখানে শান্তি ফেরানো সম্ভব।
আমাদের নেতা তারেক রহমানের দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা এগিয়ে যাব। তাঁর ঘোষনা আগামী নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগীতা ও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হবে। সেখানে সহজ উপায়ে নির্বাচিত হওয়ার কারোরই সুযোগ নেই। এখানে এখন সন্ত্রাসী ওবায়দুল কাদের, কাদের মির্জা বা তাদের লালিতপালিত কোন সন্ত্রাসী নেই। তাদের পুনরুত্থানের কোনো সম্ভবনা নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, আনিসুল হক, সদস্য একরামুল হক মিলন, হারুনুর রশীদ ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান টিপু, গোলাম হায়দার শাহীন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাছের মেম্বার,সদস্য সচিব আবুল বাশার,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মহিন উদ্দিন ছোটন, চরপার্বতী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাইন উদ্দিন, চরফকিরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হাজী শাহজাহান, যুবদল নেতা শিহাব উদ্দিন রিপন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমীরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।