নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি রায়ের প্রতিবাদে নিহত ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ শহীদের স্মরণে এক ঐতিহাসিক ছাত্র ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট হাইস্কুল মাঠে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত ছাত্র ও যুবকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল স্থানীয় ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন, হাফেজ সালমান ফারাসী সাথী,এবং হামদ পরিবেশন করে আল আমিন শিল্প গোষ্ঠী।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, শহীদদের পরিবারের একজন সদস্য। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আব্দুর রাজ্জাক।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। তিনি কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন, এবং কোম্পানীগঞ্জে শহীদ হওয়া ৭ জন ছাত্রশিবির কর্মীর রক্তের ইতিহাস তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ,কবিরহাট) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থী ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসাইন।
বক্তৃতারা বলেন,১৪ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের এক বেদনাবিধুর দিন। এ দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদদের আদর্শ ধারণ করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ছাত্র ও যুবক সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”
তাঁরা আরও বলেন, দেশে নৈতিকতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। তরুণ প্রজন্মকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আল্লাহভীরু ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ইহসাক খন্দকার, নোয়াখালী শহর জামায়াতের সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন, বসুরহাট পৌরসভার আমীর মাওলানা মোশারফ হোসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমারি মুহাম্মদ ইউসুফ এবং কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক এইচ এম আবু মুসা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জে শহীদ হওয়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ জনসহ সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

