বসুরহাট একাডেমীর অভিবাবক সমাবেশ আজ সকাল ১১টায় বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
একাডেমী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অরবিন্দ ভৌমিক এর সভাপতিত্বে এ সময়ে বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর আবুল খায়ের, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইলিয়াছ, স্কুল পরিচালনা পর্ষদ সেক্রেটারি আমির হোসেন, চাপরাশিরহাট ইসমাঈল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল বাসার, একাডেমীর পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আফতাব আহম্মেদ বাচ্চু, সাইফ উদ্দিন সবুজ, ওমর ফারুক, ব্যারিষ্টার তানভীর আহমেদ রুবেল, বিআরডিবি, চেয়ারম্যান খাজা ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম, পাক্ষিক নোয়াখালী মেইলএর প্রকাশক ও সম্পাদক মকছুদের রহমান মানিক, কিন্ডারগার্ডেন এ্যাসোসিয়েশন সেক্রেটারী করিমুল হক সাথী, অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন হাসান ইমাম রাসেল।
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তাঁর বক্তব্যে বলেন, বসুরহাট একাডেমী একটি সু-প্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক, অভিভাবক, পরিচালনা পর্ষদ সচেতন ও আন্তরিক হওয়ায় অত্র প্রতিষ্ঠানটি সু-প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। আজকের এই সমাবেশ অভিভাবক সমাবেশ নয়, মনে হয় মা সমাবেশে রূপান্তরিত হয়েছে। উপস্থিতি প্রমাণ করে ছেলে-মেয়েদের প্রতি মায়েরা অত্যান্ত আন্তরিক ও দায়িত্বশীল। পিতারা ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরিতে ব্যস্ততার ফলে উপস্থিতি হতে পারেনি। তিনি মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন দিবেন না। যাদের হাতে মোবাইল রয়েছে তারা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই মোবাইলের ফলে তাদের শিক্ষা জীবন ব্যহত হচ্ছে। অপর দিকে ছেলে-মেয়েরা বাসা বাড়ির বাহিরে কাদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে তা নজরে রাখবেন। সন্ধ্যার পর ছেলেরা পারিবারিক কাজ ছাড়া যেন বাজারে ঘোরা ফেরা না করে সে দিকে সু-দৃষ্টি রাখতে হবে। অপর দিকে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পুঁথি বিদ্যার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক শিক্ষায় মনোযোগি হতে হবে। অন্ধকার জগতে যেন পা দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানান। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বর্তমান সরকার একটি শিক্ষা বান্ধব সরকার, ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বছরে প্রথমে বিনা মূল্যে বই তুলে দিচ্ছে। এমনকি বেসরকারি শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে বই পাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষকদের বেতন-ভাতাদি দিগুন, প্রাথমিক পর্যায় থেকে স্নাতক পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবুও যদি শিক্ষার মান বাড়াতে না পারা যায় এটি একটি দুঃখ জনক। শিক্ষার মান বাড়াতে সকল শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে আন্তরিক ও মনোযোগি হওয়ার আহব্বান জানান।
আলোচনা শেষে, বসুরহাট একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও নগদ টাকা বিতরণ করেন।