সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় দিঘিতে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাছ শিকার উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। রেজাউল করিম জুয়েল, রানা, সবুজ ও সোহেল নামের চার বন্ধু ছিপ-বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের উৎসবের আয়োজন করেন।
কেশারপাড় দিঘিতে মাছ শিকার উৎসবে মাছ শিকার করতে এসেছেন মডেল ও অভিনেতা আদিল হোসেন নোবেল। নোয়াখালীর সন্তান পারটেক্স গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজিজ আল মাহমুদ মিঠুর দাওয়াতে নোয়াখালী আসেন এই তারকা।
মডেল ও অভিনেতা আদিল হোসেন নোবেল বলেন, ‘আমার বন্ধু পারটেক্স গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজিজ আল মাহমুদ মিঠুর বাড়ি নোয়াখালী। সে মাছ ধরা নিয়ে অনেক মজা করে। আমাদের তেমন মাছ ধরা হয় না, তবে সাথে থাকাটা খুব উপভোগ করি। এত সুন্দর এনভায়রনমেন্ট খুব ভালো লাগছে। এটা একটা আনন্দ।’ ‘ঢাকার মধ্যে থাকলেও কাজের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। আমার বন্ধু মিঠু এই উদ্যোগ নিয়েছে। চট্রগ্রাম থেকে তিনজন বন্ধু যুক্ত হয়েছে। এত বড় আয়োজনে আমি কখনো আসিনি। এটাই আমার প্রথম। আমার কাছে ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে এ ধরনের আয়োজন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হওয়া উচিত। সবাই তো এখানে আসতে পারবে না। যারা নর্থ বেঙ্গলে, সাউথ বেঙলে থাকে তাদের জন্য খুব কঠিন এসব জায়গায় আসা। তবে এখানে খুব সুন্দর পরিবেশ। সবাই মাছ ধরছে, পানির মধ্যে আছি, খুব উপভোগ করছি।’
কেশারপাড় দিঘির মাছ শিকারের স্থানকে মালদ্বীপের সাথে তুলনা করে নোবেল বলেন, ‘আমাদের বন্ধু সাকিবের এখানে আসার কথা ছিল। সে আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছে স্থানটা কেমন। আমি বলেছি মালদ্বীপের রিসোর্ট গুলো যেমন পানির উপরে থাকে। ঠিক এখানেও তেমন পানির উপরে মাচা করে মাছ ধরছে। এটা এত সুন্দর, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’
আয়োজক রেজাউল করিম জুয়েল বলেন, ‘প্রতি বছর এখানে মাছ শিকারের প্রতিযোগিতা হয়। এ বছর ৭০ জন প্রতিযোগি ২৩ হাজার টাকা দিয়ে টিকেট ক্রয় করেছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টা থেকে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে। মাছ শিকারের জন্য বসার আসনটি নির্ধারিত হয় লটারির মাধ্যমে। ঢাকা, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার সৌখিন মাছ শিকারীরা এখানে অংশগ্রহণ করেন। তারা সবাই ভালো মাছ পাচ্ছেন।’
নোবেলের বন্ধু পারটেক্স গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আজিজ আল মাহমুদ মিঠু বলেন, ‘আমরা দেশের বাহিরেও মাছ শিকার করি। কিন্তু সেখান থেকে এটা ভিন্ন একটা জায়গা। আমার জেলার মানুষদের দেখা এবং জেলাকে চেনা গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার বন্ধু নোবেলকে নিয়ে মাছ ধরতে এসেছি। চট্রগ্রাম থেকেও কিছু বন্ধু মাছ শিকারে এসেছে। খুব ভালো লাগছে। আমরা ইতোমধ্যে পাঁচটা মাছ পেয়েছি। সিটে যারা বসে আছে তারা খুবই খুশি।’
এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, ‘আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে চলছে মাছ শিকার উৎসব। এতে অংশ নিয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শৌখিন মাছ শিকারীরা। যারা এখানে এসেছেন তাদেরকে শুভকামনা জানাচ্ছি। আপনারা নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করুন। আমার পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা আপনাদের জন্য রয়েছে।’