হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির পানিতে ৬টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় এসব এলাকা প্লাবিত হয়। এতে হাজার-হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানাযায়, ঘুর্নিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভেঙে যাওয়া বেড়ি বাঁধ মেরামত না করায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরঈশ্বর, সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বেড়ি বাঁধ) ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। এতে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জোয়ারের পানিতে অনেকের বসতবাড়ি ডুবে যায়। তলিয়ে যায় ফসলি জমি, মাছের ঘের ও গবাদিপশুর আবাসস্থল। নলচিরা ঘাটের প্রায় ২০টি দোকান ঘর স্রোতের টানে পানিতে ভেসে যায়। জোয়ারের পানিতে অনেকের বাড়ির পুকুরের মাছ ভেসে যায়।
তমরদ্দি ইউপি চেয়ারম্যান ফররুখ আহমেদ জানান, বর্ষার টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের কারনে তমরদ্দি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলি প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাতিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আগামী ৩-৪ দিন পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই হাতিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে ক্ষতি হচ্ছে ফসল ও মৎস্য খামারের।তিনটি ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার এলাকায় কোনো বেড়িবাঁধ নেই। এগুলো মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ করা শুরু হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, অনেক দিন আগেই এ বেড়িবাঁধের এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো বাজেট না আসায় বেড়িবাঁধের মেরামত বা নতুন বাঁধ করা সম্ভব হয়নি। বাজেটের বরাদ্দ পেলে আগামী শুষ্ক মৌসুমে কাজ করা যাবে।