এএইচএম মান্নান মুন্না / সোহরাব হোসেন বাবর :: ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার বাবাও শিক্ষক ছিলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম সজ্জন ব্যক্তি পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক ছিলেন কিন্তু তিনি কথাবার্তায় বড় বেসামাল। এত মিথ্যা তিনি বলতে পারেন। এত বিষ তার মুখে ভাবতেই অবাক লাগে। দেখলে ভদ্রলোক মনে হয়। আসলে মির্জা ফখরুল প্যাথলজিক্যাল লায়ার। তিনি নোয়াখালীতে এসে প্রধানমন্ত্রী ও আমার বিরুদ্ধে এত খারাপ কথা বলেছেন তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য আশা করিনি।
রোববার (২৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে কি পেলেন? পেয়েছেন শুধু ঘোড়ার ডিম। নালিশ করতে করতে তাদের কোন কাজ হচ্ছেনা। বিএনপি এখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের অর্জনের ভারে তারা এখন দিশেহারা। দেশে আওয়ামীলীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছেন মানুষের দিনের আলো দিনে দেখেন আর বিএনপি দিনের আলো রাতে দেখেন। নোয়াখালী আগে ছিল বিএনপির ঘাঁটি। এই ঘাঁটি আমরা ভেঙে দিয়েছি। মারামারি, গোলাগুলি করে নয়। আমরা জনগণের জন্য উন্নয়ন করে সেই ঘাঁটি ভেঙে দিয়েছি। শেখ হাসিনার উছিলায় অন্ধকার থেকে আলো জ্বালিয়েছি।
বিএনপি দির্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকায় পেটের ক্ষিদায় এখন খাই খাই করছেন। ক্ষুদায় এখন তাদের বুকে জ্বালা বেড়ে গেছে। বিএনপি বিদ্যুৎ না দিয়ে দিয়েছে খাম্বা। আমরা কথা বলি কম কাজ করি বেশি। বিএনপির এক নেতা মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে রয়েছে। যে দলের নেতা দণ্ডিত আসামী মানুষ তাদেরকে সমর্থন করতে পারেনা। সুযোগ পেলে তারা বাংলাদেশকে গিলে খাবে।
বাংলাদেশে ফরমায়েশী ভোট হবেনা। নির্দিষ্ট সময়ে সুষ্ঠু ভোট হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যদি ভাঙচুর করতে আসে সে হাত ভেঙে দিতে হবে। আমরা আক্রমন করবনা তবে আক্রমন করতে আসলে শক্তহাতে প্রতিহত করব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সঞ্চালনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, তাশিক মির্জা কাদের, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা আলোকিত করার লক্ষ্য নিয়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত ৫৩৫টি সোলার বাতি স্থাপন ও বাসস্ট্যান্ডকে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।