নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চুরির অভিযোগে মোশারেফ হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোর ৪ টায় রামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হোসেন ভূঞাঁর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে ওই বাড়ী থেকে সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহত মোশারেফ হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মৃত মোস্তফার ছেলে। তার কাছ থেকে একটি ব্যবহৃত মোবাইল পাওয়া যায়।
গৃহকর্তা বাহার উদ্দিন মিজান জানান, আমি ছিলাম আমার শশুর বাড়ীতে । আমার ছোট ভাইয়ের পরিবার ছিল আমার ছোট বোনের শশুর বাড়ীতে। ঘরে কেউ ছিলনা। পাশে আমার চাচাতো ভাই ফোন করে জানায়, আপনাদের ঘরে কে যেন ডুকেছে। এই খবর পেয়ে দ্রুত চলে আসি।এসে দেখি ঘরের মধ্যে বার্তি জ্বলছে । পরে চোর, চোর বলে চিৎকার দিলে দুই জন লোক এসে আমার উপর হামলা করে। এদের এক জন পালিয়ে গেলেও অপর জনকে ধরে ফেলি। পরে এ খবর পেয়ে এলাকার লোকজন এসে তাকে পিটুনি দিলে ঘটনার স্থলে মোশারেফ নামের লোকটি মারা যায়।
তার কাছ থেকে কোন তথ্য নেয়ার আগে পিটিয়ে হত্যা করায় এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে ধারণা করছে অনেকে। বাড়ীর অন্য পুরুষেরাও এ ব্যাপারে মুখ খুলছেননা। ওই বাড়ীর বেলাল নামের ব্যক্তির সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলেও তিনি গণমাধ্যাম কর্মীদেরকে ভুল তথ্য দেন ।
পরিবারের গৃহবধু জাহান আরা বেগম জানান, আমি আমার ছেলে মেয়েসহ গতকাল মঙ্গলবার ২ ঘটিকায় সেনবাগ আমার এক আত্বীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে যাই। খবর পেয়ে সকাল ৭টায় বাড়ীতে এসে দেখতে পাই. আমার ঘরের সামনের দর্জায় সিঁদ কাটা ও একটি লোক গণধোলাইয়ে শিকার হয়ে নিহত হয়েছে । আমার স্বামী ২০১৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন । ঘরে থাকা আমার দেড় ভোরি ওজনের একাটি চেইন ও নগদ ১৪ হাজার টাকা খুঁজে পাইনি।
নিহত মোশারেফ হোসেন এর স্বজনদের ফোন নাম্বর না পাওয়ায় তাদের কোন বক্তব্য নেয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ প্রনব চেীধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তেরে জন্য নোয়াখালী সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।