মোহাম্মদ আমান উল্যা, চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিলে আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সাপের কামড়ে নূপুর কর্মকার (৩২) নামের এক যুবক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত নূপুর উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর গ্রামের কর্মকার বাড়ির কুন্তল কর্মকারের কনিষ্ঠ সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মোবাইলে কথা বলা বস্থায় নিজ বাড়ির আঙিনায় বিষধর সাপে কামড় দেয় নূপুররকে। তার বড় ভাই আহত অবস্থায় তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে স্থানীয় চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষাক্ত সাপের কামড়ের ভ্যাকসিন না থাকায় তারা জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেখানেও সাপের কামড়ের এই ভ্যাকসিন প্রদানের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় রোগীকে পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিল্লায় নেওয়ার জন্য পরমর্শ দেওয়া হয়। আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর অনুমানিক ৩ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে কুমিল্লা নেওয়ার পথেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
নিহত নূপুর কর্মকারের সহপাঠী মীর হোসাইন জানান, ‘নোয়াখালীর মতো এতো পুরাতন একটি জেলায় বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ দ্রুততম সময়ে জেলায় এই ভ্যাকসিন প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য তিনি দাবী জানান।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদ জানান, ‘রোগীর অবস্থা দেখে দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে রেফার করে দেই। নোয়াখালী জেলাতে বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়।’ রোগী সাপের কামড়ের আকস্মিকতায় এসময় মানসিক বিপর্যস্ত ছিলেন বলেও তিনি জানান।
নূপুর কর্মকার ২০২২ সাল থেকে জেলা প্রশাসনের কর্মচারী হিসেবে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বদলকোট স্কুলে পড়ার সময় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত নূপুরের এই আকস্মিক মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছে না। তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইএসসি এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
নোয়াখালীতে বিষধর সাপের কামড়ে প্রাণ গেলে যুবকের
Date: