এএইচএম মান্নান মুন্না:মুছাপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী কে মুছাপুর ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে তাকে বর্ণিল সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।অনুষ্ঠানে হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও শ্রেণীপেশার সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ।নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমনকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাঁকে গ্রেপ্তার দাবি করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের অনুসারী উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।
আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবদুল কাদের মির্জা আরো বলেন, এখানে রূপগঞ্জের সন্ত্রাসী ছাত্রদলের সাবেক দুর্ধর্ষ ক্যাডার ওসি সাজ্জাদ রোমন আসার পর থেকে কোম্পানীগঞ্জে গুপ্ত হত্যাসহ নানা ধরনের অনিয়ম শুরু হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের মানুষ অতিষ্ঠ। কিছুদিন আগে আপনারা শুনেছেন, দক্ষিণ এলাকায় একটা অটোরিকশা চুরি করার সময় পুলিশ ধরা পড়েছে। আজকে মানুষের কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে, এই অটোরিকশা পুলিশ চুরি করেছে, আর একটা হিন্দু নিরীহ ছেলে অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালায়, এই ছেলেকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে। ওসি সাজ্জাদ ছেলেটির বাবার কাছ থেকে যেনতেন একটা মামলা নিয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার নাই। এই ওসি সাজ্জাদ এখানে থাকলে এটার ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না।
বসুরহাট পৌরসভার এই মেয়র ওসির গ্রেপ্তার দাবি করে বলেন, ওসি সাজ্জাদ রূপগঞ্জে যখন সাত মার্ডার হয়েছে, তখন সে সেখানে ছিল। সে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং পুলিশের থেকেও সে ট্যাক্স নেয়, এখানকার পুলিশেরা সেটা স্বীকার করবে। এত দুর্ধর্ষ, এত অনিয়ম করছে ওসি সাজ্জাদকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে যদি রিমান্ডে নেওয়া হয়, তাহলে এই ছেলের হত্যার ঘটনার প্রকাশ পাবে। আমরা তার গ্রেপ্তার চাই।
আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওসি সাজ্জাদ রোমন বলেন, তিনি ওসি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর কোম্পানীগঞ্জে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির স্থাপিত হয়েছে। মেয়রের বক্তব্যকে কোম্পানীগঞ্জের মানুষই হাস্যকর বলে মন্তব্য করছেন।আমরা মানুষের নিরপত্তা দিয়ে থাকি ।আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো তার মনগড়া কথা ।এসব অভিযোগ সত্য নয়।
অনুষ্ঠানে মুছাপুর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান একরামুল হক মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময়ে অন্যানদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ,রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী,মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবর,সাধারণ সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ,মুছাপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী,চরহাজারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এজেড এম মহি উদ্দিন সোহাগ, নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তাশিক মির্জা কাদের,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মুন্না,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সজল,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাষ্টার আব্দুল করিম, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আজিজুল হক দুলাল ।সংবর্ধিত আইয়ুব আলী তার বক্তব্যে যাদের দোয়া,ভালোবাসা,আন্তরিকতা সহযোগিতা ও ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও আগামী ৫ বৎসর মানুষের সুখে দু:খে পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং সকলের সহযেগিতা কামনা করেন।শেষে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাজারো মানুষ গান-নাচ উপভোগ করেন।