এএইচএম মান্নান মুন্না:নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ।মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব আলী।
সোমাবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে তার এই নির্বাচনী ইশতিহার ঘোষণা করা হয়।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আইয়ুব আলী ব্যক্তিগত জীবনে সফল। তার কোনো পিছু টান নেই। তার কোনো চাওয়া পাওয়াও নেই, তাই আমার বিশ্বাস সে মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করবেনা। গরিবের হক নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেনা। সে চেয়ারম্যান না হয়েও এলাকার মানুষের জন্য যে কাজ করেছে আমার বিশ্বাস সে নির্বাচিত হলে এর চেয়ে অনেক বেশি কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, আইয়ুব আলীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভালো পরিচয় রয়েছে। আপনারা যদি তাকে মূল্যায়ণ করেন সে এলাকার জন্য অন্যদের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারবে। আগামী ৭ তারিখ আনারস প্রতীকে ভোট চেয়ে আইয়ুব আলীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার অনুরোধ জানান কাদের মির্জা।
ইশতিহার ঘোষনা অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আইয়ুব আলী আক্ষেপ করে বলেন,সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশা দিলেও একই দিন বিকেলে আমার মহিলা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিন চৌধুরীর কর্মীরা। এই হামলার বিচার আমি মুছাপুরের জনগনের হাতে তুলে দিলাম।
বক্তব্য শেষে তিনি ‘ভোট আপনার অধিকার,জনসেবা আমার অঙ্গীকার’ এই শ্লোগান ধারণ করে ২৬টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিখিত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন ।
ইশতিহারে বলা হয়,১। জন্ম নিবন্ধন জটিলতা দূরীকরণ ও হয়রানি বন্ধ করা এবং সরকার নির্ধারিত ফি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে বহন করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন সেবা প্রদান।
২।বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,দুঃস্থভাতার কার্ড বিনামূল্যে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বন্টন করা। ৩।চারিত্রিক সনদ,নাগরিকত্ব সনদ বিনামূল্যে প্রদান করা। ৪।মসজিদ,মক্তবসহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়ে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়ন করা। ৫।সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও সমঅধিকার নিশ্চিত করা। মদ,জুয়ার আড্ডা বন্ধ করা ৬।মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ৭।সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ৮।সরকারি ত্রানের সুষম বন্টন করা। সালিশ বাণিজ্য বন্ধ করা ৯।গ্রাম আদালত শক্তিশালী করণের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা ১০।সালিশের নামে হয়রানি ও ঘুষ বন্ধ করা১১।
সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজি,মাস্তানী বন্ধ করে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরী করা ১২।মুছাপুরের সকল হাঁট-বাজারে সকল মতের ঊর্ধ্বে উঠে ব্যবসায়ী ও সুধীজনদের নিয়ে বাজার কমিটি গঠন করা
১৩।কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে কুটির শিল্প স্থাপন করা।
১৪।A+প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দেয়া এবং গরিব শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা।
১৫।সুস্থ বিনোদনের জন্য ক্রিড়া ক্লাব গঠন করা।
১৬।পরিবহনখাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, শ্রমিক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ১৭।রাস্তা,ঘাট,পুল,কালভার্টের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা।
১৮।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা।
১৯।কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে সার ও কীটনাশকের ব্যবস্থা করা।
২০।কৃষকদের জন্য সেচ প্রকল্প চালু করা এবং কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।
২১।ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ বক্স স্খাপন করা যাতে জনগণ লিখিত আকারে তাদের অভিযোগ দিতে পারে।
২২।মাসে একদিন “জনতার কথা” নামে অনুষ্ঠান করা,যাতে জনগণ তাদের অভাব অভিযোগ চেয়ারম্যানকে সরাসরি বলতে পারে।
২৩।জাতীয় জরুরি সেবার মত ২৪ ঘন্টা চেয়ারম্যানের জরুরী সেবা চালু করা।
২৪।মুছাপুরের সকল রাস্তায় পর্যাক্রমে সোলার লাইট দিয়ে রাতের বেলা জনগণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা।
২৫।গরীব,অসহায়, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা।
২৬।নারী নির্যাতন ও ইভটিজিং রোধে প্রত্যেক ওয়ার্ডে শিক্ষক, অভিভাবক, রাজনীতিক ও সুধীজনদের নিয়ে নাগরিক কমিটি গঠন করা।