সদর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে তার সঙ্গে প্রার্থী হতে চাওয়া ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) হওয়ায় ‘ওবায়দুল কাদেরের বেয়াই’ হিসেবেও এলাকায় পরিচিত।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমের কারণে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি লিখিতভাবে তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে নিজেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে ওই এলাকায় শুভেচ্ছা পোস্টার লাগান তিনি।
পোষ্টার লাগানোর পর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ নিয়ে বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহকে ‘দুর্নীতিবাজ ও দুদকের আসামি’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ থেকে তার বহিষ্কারের দাবি তোলেন।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘ডাক্তার জাফর উল্লাহ জাসদের ও একরামের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। দুর্নীতিবাজ, যার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা আছে- সে আজকে নোয়াখালী-৫ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবের সম্মান নষ্ট করছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত করছে। তাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক।’
অব্যাহতির বিষয়ে রাতে ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহ বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ কি সিদ্ধান্ত নিল তা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি আরও বেশি শক্তি সাহস ও উদ্দীপনা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবো।’