বিশেষ প্রতিবেদক :: মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব যখন টালমাটাল। এই ভাইরাসের আক্রমনে বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারে আরোপিত বিধিনিষেধের কারনে মানুষ ঘরবন্দী হয়ে আছে। খেটে খাওয়া মানুষের মানবেতর জীবনযাপন ও করুন পরিস্থিতি দেখে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের একজন ছাত্র নোমান চৌধুরী অংকন যার পিতা- মাতা দুজনই শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বিশেষ করে গ্রামের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একজন শিক্ষকের জীবনযাত্র কতটা দুর্বিসহ হয়ে উঠে তা উপলব্ধি করতে পেরে এই দুর্যোগে নিন্ম ও নিন্ম মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের জন্য কিছু একটা করার তাগিদ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১৭তারিখে গঠন করে ‘লুজার ফাউন্ডেশন’। লুজার ফাউন্ডেশন নামটা শুনতে কেমন যেন ঠেকে। কিন্তু লুজার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতার ব্যাখ্যা হল, জীবনে চলার পথে আমরা সবাই লুজার ছিলাম, আর এই লুজাররাই একদিন ঠিকই উইনার হয়। তাই আমাদের ফাউন্ডেশনের মুল প্রতিপাদ্য হল লাইন-“We are all losers, but at the end we will definitely become winners”
আমরা লুজাররাও পারি সমাজের কিছু মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই শ্লোগান নিয়ে শুরু করি ঈদ আনন্দ-২০২১ প্রকল্প। নোয়াখালীর সন্তান নোমান চৌধুরী ভাবে নোয়াখালীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবে এই প্রকল্প। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুদান সংগ্রহে নেমে ভিবিন্ন জেলা থেকে বন্ধু-বান্ধবরা এগিয়ে আসলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সমগ্র বাংলাদেশ করা হয়। এখন পর্যন্ত লুজার ফাউন্ডেশন সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, বগুড়া, আশুগঞ্জ, রাঙ্গামাটি, কুষ্টিয়া ও নোয়াখালীতে ঈদ আনন্দ উপহার (খাদ্য সামগ্রী) বিতরণ করেছে। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করলে সমগ্র বংালাদেশে এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে সংগঠনটি।
লুজার ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করলে নোমান চৌধুরী জানান, পথশিশুদের পড়ানোর ব্যাবস্থা, গ্রামে গঞ্জে যারা অনলাইনে ক্লাশ করতে পারছেনা ইন্টারনেট সংযোগের অভাবে তাদের সামনা-সামনি ফ্রি ক্লাশের ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই লুজার ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্য।