কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: গত বছরের আকস্মিক বন্যায় ডুবে ছিল কোম্পানীগঞ্জ। সেই বন্যার রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত উপজেলার বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপের ফলে ভারি বৃষ্টিপাত ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে উপকূলের নিম্নাঞ্চল।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩ টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কোম্পানীগঞ্জে ২৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এদিকে, অতিরিক্তি জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর, চরহাজারী ও চরএলাহী ইউনিয়ন বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা।ঘরবাড়ির পাশাপাশি ডুবেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। ডুবে গেছে ধান, শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলি জমিও।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,সোমবার থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।খাল গুলো সংস্কার না করা এবং কার্লভাট গুলোর মুখে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় নিষ্কাশন ব্যবস্থা নস্ট হয়ে গেছে।যার ফলে ইউনিয়ন গুলোর প্রধান সড়ক গুলো প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে নিচু অঞ্চলের বাড়িগুলোতে।অনেক এলাকায় ভেঙে পড়েছে বিদ্যুত সেবা।
অপরদিকে, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং প্রবল বর্ষণের কারনে আগামী দুদিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল প্রতিষ্ঠান সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং চলমান অর্ধ বার্ষিক বা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা সমূহ স্থগিত থাকবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলায় আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।’